মালদায় বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে ৩ জন নাবালক রয়েছে। রয়েছে ২ যুবকও। জানা যাচ্ছে, ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়োতে গিয়েছিল তাঁরা। সেই সময় বজ্রপাতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। মৃতদের মধ্যে এক প্রৌঢ়াও রয়েছেন। ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া।
মৃতদেহগুলি মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। দুপুরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত ও বৃষ্টি শুরু হয় জেলাজুড়ে। সেই সময় কেউ জমিতে কাজ করছিলেন। কেউ আবার বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরোনো মালদা এলাকায় চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১) নামে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গাজোলের আদিনাতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে অসিত সাহা (১৯) নামে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। ইংরেজবাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের যুবক পঙ্কজ মণ্ডল (২৮) ও সুইতারা বিবি (৩৯) নামে এক মহিলার মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। পরে আরও ৬ জনের মৃত্যুর খবর আসে।
এদিন সকাল থেকে প্রচন্ড গরমের পর দুপুরে হঠাৎই আকাশ কালো করে ঝড় বৃষ্টি নামে মালদায়। আগেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বাজ পড়ার সময় বাইরে বেরোনোয় নিষেধও করেছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু জমিতে থাকা কৃষকরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে পারেননি। ওই যুবক-সহ নাবলকরাও ঝড়-বৃষ্টিতে বাইরে বেরিয়েছিল বলে জানা গেছে।