শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত কেশপুর। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কেশপুরে হিরণের গাড়ি আটকে অশান্তি প্রসঙ্গে দেব বলেন, ‘‘কাল থেকে হিরণ কেশপুরের পিছনে পড়েছেন। ওখানে যদি সন্ত্রাস হয়ে থাকে, উনি নিজের কথাবার্তার মাধ্যমে তা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘুরছি। আমাকে ঘিরে তো বিজেপির লোকজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। উনি কেশপুরকে অতীতে অনেক বার আক্রমণ করেছেন। রাতেও সেখানে ছিলেন। সকাল থেকেই উনি পুলিশকে চমকাচ্ছেন। আমার মনে হয়, উনি ইচ্ছা করে সন্ত্রাস বাড়াচ্ছেন। উনি হেডলাইনে থাকতে চান। আমি ১০ বছর ধরে কেশপুরকে আগলে রেখেছি। ওখানে কিছু হতে দিইনি। ভোটের দিন উনি চাইছিলেন, এটা হোক। তবে লাভ হবে না।’’
উল্লেখ্য, অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই একাধিক বার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন হিরণ। তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। চাকার সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বেরিয়েছেন। গাড়িতে বসে আছেন হিরণ। তাঁর বিরুদ্ধে বুধবার রাতে এলাকায় গোলমাল পাকানোর অভিযোগ রয়েছে।
ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের আনন্দপুর থানার খেড়িয়াবালি এলাকায় দীর্ঘক্ষণ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এই বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল অশান্তি ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শনিবার ষষ্ঠদফায় ভোটগ্রহণ চলছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে। এদিন সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, ১৮২টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণকে আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল সমর্থকরা।
অন্যদিকে, এদিন ভোট দিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বিষয়টিতে বলেন, "ক্যানডিডেটকে আটকে ভোট আটকানো যায় না। বর্ধমানে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, ভোট আটকাতে পারেনি! তৃণমূল হতাশ হয়ে আমাদের ক্যান্ডিডেট কে আটকানোর চেষ্টা করছে। এই দফার ৮টি আসনের আটটিই আমরা জিতব।"