scorecardresearch
 

Lottery: অবিক্রিত লটারিতে কোটি টাকা, মায়ের মানত পূরণ, দু'জোড়া কালীপুজো-১০৮ ঢাকি

অবিক্রিত টিকিটেই কোটি টাকা পেলেন লটারি বিক্রেতা! ৪ কালী, ১০৮ ঢাঁকি নিয়ে দিলেন পুজো।

Advertisement
লটারিতে কোটি টাকা জিতলেন বিক্রেতা। লটারিতে কোটি টাকা জিতলেন বিক্রেতা।

মায়ের মানত পূরণ করল ছেলে। লটারিতে এক কোটি টাকা জিততেই মহা-ধুমধামে কালীপুজো করলেন তেহট্টের বাঘাডোবা গ্রামের অসীম দত্ত। রীতিমতো চারটি কালী মূর্তি ও ১০৮টি ঢাক নিয়ে প্রসেসন করলেন। ভোগ খেলেন কয়েকশো অতিথি। 

ছেলের জন্য মানত করেছিলেন মা

এই কালীপুজোর পিছনে অভিনব কাহিনীও জানালেন অসীম দত্ত। বললেন, তাঁর মায়ের অপূর্ণ ইচ্ছা ছিল এটি। বহুদিন আগে তিনি একবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বহু ডাক্তার-বদ্যি করেও কিছুতেই শরীর ঠিক হচ্ছিল না। ছেলেকে নিয়ে মরিয়া হয়ে ছোটাছুটি করছিলেন অসীমবাবুর মা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এদিকে সংসারে আর্থিক অনটনের জেরে বড় কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন

এরপর নিরূপায় হয়ে কালীর কাছে মানত করেন অসীম দত্তের মা। তিনি স্থির করেন, ছেলে সুস্থ হলে ধুমধাম করে কালীপুজো করবেন। এরপরে ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সুস্থ হয়ে ওঠেন অসীমবাবু। তবে সংসারে অর্থাভাব লেগেই থাকে। ইচ্ছা থাকলেও তাই কালীপুজোর আয়োজন করতে পারেননি অসীমবাবুর মা।

ফলে ছেলে সুস্থ হয়ে উঠলেও অর্থাভাবে মানত রক্ষা হয়নি মায়ের। অপূর্ণ ইচ্ছা নিয়েই গত হন। 

কালের নিয়মে সংসারের দায়িত্ব চেপে বসে অসীমবাবুর কাঁধে। নাজিরপুর বাজার এলাকায় লটারি বিক্রি করেন তিনি। কোনওমতে টেনেটুনে সংসার চলে। মূল্যবৃদ্ধির বাজার। তাই অনেকবার পুজো দেওয়ার চিন্তাভাবনা করলেও অর্থের অভাবে সেই প্ল্যান ভেস্তে গিয়েছে।

অন্যের ভাগ্য খোলার খেলা নিয়ে ব্যবসা করতেন। কিন্তু সেই লটারি যে একদিন তাঁরই ভাগ্য বদলে দেবে, তা কল্পনাও করেননি অসীমবাবু। 

সাধারণত লটারি বিক্রেতাদের হাতে কিছু টিকিট বেঁচে যায়। খেলার ডেট পারের আগেই তাঁদের সেটা লটারি অফিসকে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হয়। 

Advertisement

এদিকে সংসার, নানা কাজের ব্যস্ততায় কিছু বিক্রি না হওয়া টিকিট ফেরত পাঠাতে ভুলে যান তিনি। কিন্তু এই 'গাফিলতি'ই যে তাঁর ভাগ্য পাল্টে দেবে, তা কল্পনাও করেননি। 

২৭ অক্টোবর রাত ৮টার খেলাতেই জীবন পাল্টে যায় অসীমবাবুর। বিক্রি না হওয়া টিকিটের নম্বরেই দেখা যায় প্রথম পুরস্কার লেগেছে। এক কোটি টাকা!

পুরস্কার পেতেই পুজোর প্ল্যান ছকে ফেলেন অসীমবাবু। দুইটি জোড়া কালী, ১০৮ ঢাকের আয়োজন করে ফেলেন। আমন্ত্রণ করেন কয়েকশো মানুষকে। পুরো গ্রামজুড়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। 

এতদিন পর মায়ের অপূর্ণ মানত পূরণ করতে পেরেই খুশি অসীমবাবু। এটাকেও মা কালীর ইচ্ছা বলেই মনে করছেন তিনি। 

লটারিতে ১ কোটি টাকা পাওয়ার পরেও অবশ্য আর পাঁচটা দিনের মধ্য়েই সাধারণ জীবনযাপন করছেন তিনি।প্রত্যেকদিনের মতো এখনও বাজারে টিকিট বিক্রি করছেন।

সংবাদদাতাঃ নীলয় ভট্টাচার্য

TAGS:
Advertisement