শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। হামলার ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন প্রদীপ। অবশেষে শনিবার প্রদীপকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি। এই নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হল।
গত ১৯ মে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, শিলিগুড়ির সেবক হাউস নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। গত ১৮ মে রাতে ওই সন্ন্যাসীদের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে মন্তব্য করার পর থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, এই ঘটনার পরপর অভিযুক্তদের পক্ষ থেকেই পাল্টা রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন বিধায়ক। শনিবার রাতে শিলিগুড়ির জংশন বাস স্ট্যান্ড থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় নামে এক জমি মাফিয়াকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হুগলির গোঘাটের সভায় মমতা বলেছিলেন, 'সব সাধু সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের এক জন মহারাজ আছেন। অনেক দিন ধরে শুনেছি। কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রমকে শ্রদ্ধা করি...কিন্তু যে লোকটা বলে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।' মমতার এই মন্তব্যের পাল্টা রবিবার বিষ্ণুপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'তৃণমূল সাধুসন্তদের গালিগালাজ করছে।' ভোটব্যাঙ্কের জন্য সাধুদের অপমান করা হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন মোদী। এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।