মালদার স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডব। বন্দুক হাতে ক্লাসরুমের ভিতর ঢুকে পড়ল এক যুবক।শুধু বন্দুক নয়, সেই যুবকের সঙ্গে ছিল অ্য়াসিডের বোতল, চাকুও। যা দেখে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে ক্লাস সেভেনের ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে সেই যুবক। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক থাকে সে। ব্যাগ থেকে বের করে বন্দুক। আর সেই বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ক্লাসরুমের মধ্যে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাইস্কুল। স্কুল সূত্রে খবর, এদিন ক্লাস সেভেনের ওই ঘরে ঢুকে পড়ে এক যুবক। তার হাতে ছিল বোতল। এবং ব্যাগ। ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে সে স্কুলের পড়ুয়াদের শাসানি দিতে থাকে। যা দেখে আতঙ্কে কাঁপতে থাকে পড়ুয়ারা। স্কুলের ক্লাসরুমে ঢুকেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের আটক করে রাখে ওই যুবক। সূত্রের খবর, ওই যুবক কোনও একজন ছাত্রের বাবা। ওই ব্যক্তির দাবি তাঁর ছেলে নিখোঁজ। ছেলেকে খুঁজে দিতে হবে বলেই তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। ওই ব্যক্তি এলাকারই বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে আসে পুলিশ। তারা যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক করে। সে কেন স্কুলে এভাবে গেল, বন্দুক কোথা থেকে পেল এই সব প্রশ্ন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন : ১৪ মে বিচারপতি মাহেশ্বরীর অবসর, ২৮ এপ্রিলই সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি? বড় আপডেট
স্কুল সূত্রে খবর, ওই যুবক জানায়, বোতলগুলিতে অ্যাসিড ও বোমা রয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শিক্ষকরা পুলিশকে খবর দেন। তারইমধ্যে স্কুলের মধ্যে নিজের নানা সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। একজন পুলিশ কর্মী বন্দুকের নল উপেক্ষা করে ওই ব্যক্তিকে জাপটে ধরেন। পিছন পিছন ছোটেন বাকি পুলিশকর্মীরাও। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অন্য পুলিশকর্মীরা নিরাপদে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস থেকে বার করে আনেন।
ঘটনা নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, 'আমি বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলাম। ক্লাস সেভেনে। তখন সেই যুবক ঢোকে। আমাকে চুপ করে থাকতে বলে। সে জানায়, তার ছেলে নিখেোঁজ। তাই তিনি এসেছেন স্কুলে। নিজের ছেলেকে দেখতে না পেলে তিনি বাচ্চাদের ক্ষতি করবেন।