'বাংলায় বৃষ্টিতে 'এফেক্ট' হয় না, পরিকল্পিতভাবে জল ছাড়লে, ডিভিসি... তখন হয়,' বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দানা ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাবের আশঙ্কার সারারাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শুক্রবার বেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। বৃষ্টির ফলে কোন কোন জায়গা জলমগ্ন, কোথায় জল দাঁড়িয়ে আছে তার রিপোর্ট নিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় এক আধিকারিকের থেকে পূর্ব পাশকুঁড়ার পরিস্থিতি জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রী এরপর বলেন, 'অমাবস্যা হবে ৩০ তারিখে... ৩০-৩১ অক্টোবর। কালীপুজোর কোটাল আছে কিন্তু যদি বৃষ্টি না হয়, আজকের পর যদি আবার বৃষ্টি না হয়, তাহলে খুব একটা প্রবলেম হবে না। ঝাড়খণ্ড হঠাৎ করে ২৪ হাজার জল ছেড়ে দিয়েছিল কাল। এখন কথা হচ্ছে ওদের ওখানে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিটা হয়নি। ওদের ওখানে বৃষ্টি হলেই আমাদের এখানে শেল পড়ে।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যায় ত্রাণের কাজটা আমাদের ভাল করে করতে হবে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, এসপি-দের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি ঘুরে দেখে ত্রাণ সম্পর্কে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে যাঁরা আছেন, তাঁদের দুর্যোগ সম্পূর্ণ না কাটা পর্যন্ত রাখতে বলেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, জেটি, বিদ্যুতের খুঁটি মেরামতের নির্দেশ দেন। খাতা-বই, জামাকাপড় নষ্ট হয়ে গেলে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে এখনও বৃষ্টি হয়নি থাঙ্ক গড। বৃষ্টির উপরে যদি জল ছাড়ে, কিছু তো ছেড়েছে। কিন্তু সেটাতে এফেক্ট হবে না। আমাদের এখানে বৃষ্টিতে এফেক্ট হয় না, পরিকল্পিতভাবে জল ছাড়লে, ডিভিসি... তখন হয়।'
তিনি আগের বন্যায় যে যে পরিবার, কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাঁদের আর্থিক সাহায্য, শস্য বিমা ও বন্যা ত্রাণ নিয়ে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন।