শনিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে তোপ দাগলেন বিজেপিকে। বললেন, 'বাংলাকে বদনাম করে বেরাচ্ছে। প্রত্যেকটা মা-বোনের অসম্মান। তারা জানতেও পারল না টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে কী লিখিয়ে নিচ্ছে।'
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে বার বার সন্দেশখালির কথা উঠে আসছে তৃণমূল নেত্রীর কথায়। বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে মমতার মুখে শোনা যাচ্ছে সন্দেশখালি কথা। বীরভূমে গিয়ে সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সন্দেশখালির মা-বোনেদের কীভাবে প্ল্যান করে অসম্মান করেছে দেখেছেন? ওরা জানে না মেয়েদের কাছে টাকাটা বড় কথা নয়। আত্মসম্মান, গরিমা, আমার মায়ের শাড়ির আঁচল… এটার সম্মান অনেক বেশি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকেই সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। শুরুটা হয়েছিল ইডির উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এরপর একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে সন্দেশখালি থেকে। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিয়ো ক্লিপকে কেন্দ্র করে ভোটের আবহে ফের চর্চায় সন্দেশখালি। ওই ভিডিয়ো ক্লিপের ভিত্তিতে তৃণমূল দাবি করছে, সন্দেশখালির ঘটনাকে সাজানো হয়েছে। উল্টোদিকে ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবির। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সন্দেশখালির এক মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে সাদা কাগজে তাঁদের সই করানো হয়। সেই কাগজেই ধর্ষণের অভিযোগ লেখা হয়।
সংবাদমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি জানিয়েছেন, তাঁদের জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়। দিল্লির মহিলা কমিশনের নির্দেশে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে হয়। ওই দুই মহিলা এদিন নতুন করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগে তাঁদের দাবি, যেহেতু তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাই তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার ওই মহিলা ও শাশুড়ির বিবৃতি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয়। মহিলার কথায়, 'আমরা কোনও রকম মিথ্যে অভিযোগের সঙ্গে জড়াতে চাই না। আমাদের প্রতিবেশীরা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না। আমি ওদের মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বললে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।'