সন্দেশখালিতে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধারের ঘটনায় কার্যত 'ষড়যন্ত্র' তত্ত্ব তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সেখান থেকেই যে উদ্ধার হয়েছে তার কি প্রমাণ আছে, সেই প্রশ্নও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন কুলটির সভায় মমতা দাবি করেন, সন্দেশখালিতে এনএসজি অভিযানের আগে রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়নি। পুরোটাই একপক্ষ নিজের মতো করে করেছে। তাঁর কথায়,'এখানে একটা চকোলেট বোমা ফাটলেও কেন সিবিআই, সিআইএসএফ, এনআইএল আর এনএসজি পাঠিয়ে দিচ্ছে! যেন যুদ্ধ হচ্ছে! আর একেবারে ওয়ান সাইডেড। রাজ্য পুলিশকেও জানায়নি। এত জুমলাবাজ দল আমি দেখিনি। খালি বাংলাকে বদনাম করতে চাইছে'।
শুক্রবার শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র বাড়িতে অভিযানে গিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় সিবিআই। ডাকা হয় এনএসজি-কে। ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক সনাক্তকারী রোবট নিয়ে পৌঁছন এনএসজি-ক কম্যান্ডোরা। কয়েক ঘণ্টা অভিযানের পর উদ্ধার হয় দেশি-বিদেশি বন্দুক ও গুলি, এমনটাই ছবি দিয়ে দাবি করে সিবিআই। ওই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, সেগুলি ওখান থেকেই যে পাওয়া গিয়েছে তার কী প্রমাণ আছে। তৃণমূল নেত্রী বলেন,'কেউ জানে না কী কী কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এটাও হতে পারে ওরাই গাড়িতে করে এনেছিল। সেটাই দেখিয়েছে। কোনও প্রমাণ নেই যে ওগুলো ওখানেই ছিল'।
বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা হিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেছেন মমতা। তাঁর মন্তব্য,'আজ সন্দেশখালিতে একটা ছোট ঘটনার খবর পেয়েছি। বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা রাখা ছিল। বোমা মেরে, চাকরি খেয়ে নির্বাচন জেতার পরিকল্পনা করেছে। বোম মেরে আর চাকরি কেড়ে নির্বাচনে জিততে পারবেন না। ভাষণ চাই না রোজগার চাই'।
মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন,'সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মোদীবাবু আপনার দাম কমে গিয়েছে। জনতা আপনাকে আর পছন্দ করে না'। শুক্রবার মালদার সভায় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের জন্য রাজ্যের উন্নয়ন আটকে গিয়েছে। তার পাল্টা মমতার হুঁশিয়ারি,'আপনি ইস্তফা দিয়ে বাংলাকে চ্যালেঞ্জ করুন'।