scorecardresearch
 

Mamata Banerjee On Malda School Incident : 'পুলিশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে', মালদায় স্কুলে পণবন্দিকাণ্ডে প্রশংসা মমতার

বুধবার দুপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যায় মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল। জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময়ই হাতে ২টি বোতল নিয়ে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। এরপর পকেট থেকে বের করে ২টি বন্দুক। পণবন্দি করে ছাত্রছাত্রীদের। ওই ব্যক্তি দাবি করে, বোতলগুলিতে রয়েছে অ্যাসিড ও পেট্রল বোমা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত থানায় খবর দেন শিক্ষকরা। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • মালদায় স্কুলে বন্দুকবাজকে পাকড়াও পুলিশের
  • পুলিশের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী
  • স্কুল কমিটিকেও দিলেন পরামর্শ

মালদায় স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করার ঘটনায় অভিযুক্তকে তৎপরতার সঙ্গে বাগে এনেছে পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় পুলিশের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আগামদিনে স্কুল কমিটির সদস্যদের আরও নজর রাখা বা দারোয়ান নিয়োগের পরামর্শও দেন তিনি। 

বুধবার দুপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যায় মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল। জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময়ই হাতে ২টি বোতল নিয়ে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। এরপর পকেট থেকে বের করে ২টি বন্দুক। পণবন্দি করে ছাত্রছাত্রীদের। ওই ব্যক্তি দাবি করে, বোতলগুলিতে রয়েছে অ্যাসিড ও পেট্রল বোমা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত থানায় খবর দেন শিক্ষকরা। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। এর পর নানা রকম ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলতে শুরু করে ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। এদিকে এরই মধ্যে বন্দুকের নল উপেক্ষা করে এক পুলিশকর্মী হঠাৎই জাপটে ধরেন ওই ব্যক্তিকে। পিছন পিছন ছুটে যান বাকি পুলিশকর্মীরাও। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয় ব্যক্তির হাত থেকে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পাশাপাশি পড়ুয়াদেরও নিরাপদে ক্লাস থেকে বের করেও আনা হয়। 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার পুলিশরা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, এবং আমার সংবাদিকরা মালদার, আমি ওদের সবসময় ভালবাসি। যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তারা দিয়েছে, এবং একটা এতবড় ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে। থ্যাঙ্ক গড, যে আমার বাচ্চারা ও ভাইবোনেরা সকলে সুস্থ আছে। টিচাররা সুস্থ আছে, পুলিশ সুস্থ আছে। আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আমি স্কুল কমিটির লোককে বলব, স্কুল যখন চালু হয়ে যাবে, একটু নজর রাখবেন। দরকার হলে দুটো দারোয়ান রাখাই যেতে পারে স্কুলে। পুলিশের কাছে তারা সাহায্য চাইতে পারে। এসব পরিকল্পনা চলবেই। গ্রামবাংলার মানুষ একটু সজসরল হয়, ভেবেছে কোনও গার্জিয়ান হবে। এখন এত সহজভাবে সবকিছু নিলে চলবে না। এই যুগটাই হচ্ছে সাইবার ক্রাইমের যুগ। এক ফোন যেমন সাহায্য করে, আবার একটা ফোনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব চক্রান্তও করা যায়"।

Advertisement

 

Advertisement