'অপরাজিতা' বিল পেশের দিন বিধানসভায় যুযুধান দুই পক্ষ শাসক বনাম বিরোধী। দেশের বর্তমানের নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গ টানলেন ভিনেশ ফোগতের সোনা হাতছাড়া হওয়ার। এর পিছনে বিজেপি-যোগ থাকতে পারে বলে দাবি করলেন মমতা।
মমতা বলেন, "এমনকি সাক্ষী মালিক আমাদের সোনার মেয়ে তাদের ওপরেও যা অত্যাচার হয়েছে...এখনও ডাউট আছে, ক্রশ চেক করলে দেখা যাবে ভিনেশ কিন্তু সোনা আনতে পারত, কিন্তু ওকে ভিক্টিমাইজ করা হয়েছে কিনা আগামী দিনে ইতিহাস তা প্রমাণ করবে।"
প্রসঙ্গত, ৫০ কেজি কুস্তিতে ফাইনালের দিন সকালে তাঁর ওজন বেড়ে যায়। ফলে প্যারিস অলিম্পিকে সোনার ম্যাচে আর নামতে পারেননি ভিনেশ।এই নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়েছিল। প্রথমে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে আবেদন করা হয়, পরে সেটা খারিজ হয়ে যায়। তারপর আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হন ভারতীয় কুস্তিগির। দীর্ঘ দিন ধরে বিবেচনা করার পর শেষে ক্রীড়াক্ষেত্রের শীর্ষ আদালতেও ভিনেশের আবেদন খারিজ হয়। খালি হাতেই দেশে ফিরতে হয় ভিনেশকে।
ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে ছিলেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়ারা। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালায়। ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধানের পদত্যাগের দাবি জানায় সাক্ষী, ভিনেশরা। দিনের পর দিন পথে বসে আন্দোলন চালান তাঁরা। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করা ভারতের মহিলা কুস্তিগিরদের পুলিশের লাঠি খেতে হয়। তাঁদের আন্দোলন ভাঙতে লাঠিচার্জ করা জয়। অলিম্পিকে পদক জয়ী সাক্ষীদের টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে। মঙ্গলবার বিধানসভায় মেয়েদের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার প্রসঙ্গে ভিনেশ, সাক্ষীদের ঘটনার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। ভিনেশ ফোগাটও ব্রিজভূষণের দ্বারা মানসিক হয়রানির শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকী তিনি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।
দেশে নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের ঘটনাগুলির কথা স্মরণ করান মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর একে অপরকে তীব্র আক্রমণ শানান।