scorecardresearch
 

'বাংলাকে অপমান করবেন না', আলাপনের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন মমতার

রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
মমতা ও  মোদী মমতা ও মোদী
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার
  • বাংলাকে অপমান করছে কেন্দ্র সরকার, অভিযোগ মমতার
  • আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন মমতার

রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার রাজ্যের আমলাদের উপরও হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র সরকার। করোনার কারণে আলাপনের কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানাই। কেন্দ্র অনুরোধ মেনে নেয়। অথচ গতকাল অসাংবিধানিক ভাবে মুখ্যসচিবকে বদলি নির্দেশ দেওয়া হয়। 

মুখ্য়মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ভোটে বাংলায় খারাপ ফলাফলের জন্য বিজেপি এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সেজন্য তাঁকে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ও বাংলার মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা হচ্ছে। মমতার কথায়, 'কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার উপর রাগ থাকলে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে পারি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করুন। সংবিধান মেনে চলুন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি বলে এত রাগ? ৩১ মে মুখ্যসচিবের অবসরের কথা ছিল। করোনার কারণে আমরা তাঁর ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানাই। কেন্দ্র তার অনুমতিও দেয়। অথচ হঠাৎ করে আলাপনের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।  রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কীভাবে বদলি-নির্দেশ দিল কেন্দ্র?' 

আরও পড়ুন : দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূল নেতার

গতকাল তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ নিয়ে যে বিতর্ক দানা বাঁধে তার জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যকে জানানো হয়েছিল এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী ও  মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে হবে। অথচ পরে দেখা গেল সেখানে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতারাও আছেন। মমতার প্রশ্ন, 'গুজরাতেও তো ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। সেখানে বিরোধী নেতাদের ডাকা হয়নি। তাহলে এখানে কেন ডাকা হল?' 

বৈঠক বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আমাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের হেলিকপ্টার প্রায় ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটে।  প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর এসপিজি তখন দেখা করতে দেয়নি আমাদের। আমাদের অনেকক্ষণ দেখা করতে হয়। তারপর দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে দিই। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ বার অনুমতি নিয়ে সভা বৈঠক ছেড়ে আসি। তাহলে আমার দোষ কোথায়?' 

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁকে একতরফাভাবে অপমান করেছে কেন্দ্র। একাধিকবার এমন করা হল। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এভাবে অপমান করার অধিকার কেন্দ্রের নেই। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে আঘাত আসছে।

 

Advertisement