রাজ্যে শিল্পায়নে গতি আনার লক্ষ্যে তৎপর হল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে শিল্প মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শিল্পায়নে গতি আনতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার কথা বৈঠকে।
'রাজ্যে শিল্প নেই', একথা বলে প্রায়শই সরব হয় রাজ্যের বিরোধী শিবির। গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে লগ্নি টানতে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে মমতা সরকারকে। ২০২১ সালে রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর শিল্পায়নকে পাখির চোখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় শিল্পায়ন গড়ে তোলা তাঁর লক্ষ্য বলে সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন মমতা।
রাজ্যে প্রতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন বণিক সভার প্রতিনিধিরা হাজির হন। শিল্পপতিদের আহ্বান জানানো হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মমতা। পাশাপাশি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সফরে মোট ৩টি বাণিজ্য সম্মেলন করেছিলেন মমতা। ওই সফরে বাংলার শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরাও ছিলেন। বাংলায় বিনিয়োগ করার জন্য সকলকে সেই সময় আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, সম্প্রতি হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে 'কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই' করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। শুধু তাই নয়, কৃষকদের দাবি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমানায় খনউরিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। ডেরেকই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে মমতার কথা বলান। কৃষকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'শত অত্যাচার সত্ত্বেও আপনারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের অবস্থান থেকে সরেননি। আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে চাই। আপনাদের যা চাহিদা রয়েছে, তা আমাকে জানাতে পারেন। যদিও আমাদের সরকার আসেনি, কিন্তু চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করব।' মোদী সরকারকেও নিশানা করেছেন মমতা। বলেছেন, 'এই সরকার গড়বড় সরকার, নড়বড়ে সরকার। আপনারা আন্দোলন জারি রাখুন। দরকার হলে আমরাও যাব।'