আরও ১১টি নতুন থানা পাচ্ছে বাংলা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে আরও দৃঢ় করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন ১১টি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীতও হয়েছে। এই ১১টি নতুন থানার মধ্যে ৮টি থানা হবে ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকায়।
ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকার নতুন ৮টি থানা হল, নাগেরবাজার, কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর, মোহনপুর এবং হালিশহর। নতুন থানা তৈরির পাশাপাশি ৭৭৯টি নতুন পুলিশ পদ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে। অর্থাৎ, রাজ্য পুলিশের নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
কেন ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকার নতুন ৮টি থানা তৈরির প্রয়োজন হচ্ছে? রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের যুক্তি, এই মহকুমা এলাকায় জনসংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে কমিশনারেটের এলাকাও। তাই এখানে থানা তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
নাগেরবাজার মোড়ে রয়েছে কামারডাঙা ফাঁড়ি, কামারহাটিতেও পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে আর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কাছে ইতিমধ্যেই একটি ফাঁড়ি রয়েছে। সেগুলিকেই থানায় উন্নিত করা হবে। বেলঘরিয়া থানা ভেঙে হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর আর কামারহাটি থানা। এদিকে বীজপুর থানা ভেঙে হালিশহর থানা তৈরি হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এলাকা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসনের কাজের সুবিধা হবে। পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে বাসিন্দাদেরও।
বীরভূমের কীর্ণাহারেও একটি নতুন থানা তৈরি হবে। এছাড়াও গোলঘর, আটচালা বাগনান আর বারুইপাড়া মিলিয়ে আরও তিনটি নতুন পুলিস ফাঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি এলাকার সঙ্গে প্রশাসনিক যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।