দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে রবিবার ভোরে আরেকটি ঘটনা ঘটে গেল। চুরির অভিযোগে যুবককে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনা আবারও উস্কে দিয়েছে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন। নিহতের নাম আসগর আলি মোল্লা। ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পেশায় ছিলেন ডেকরেটর। অভিযোগ, ভাঙড় বাজার এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরে চুরির ঘটনা ঘটছিল। রবিবার ভোরে স্থানীয়রা আসগর চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপরই তাকে বেঁধে মারধর শুরু হয়।
অভিযোগ, আহত অবস্থায় যুবককে ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে সকলে ভেবেছিলেন তিনি নেশাগ্রস্ত। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে একই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। এরপরই আজগরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মারের জেরে আসগর গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। দীর্ঘক্ষণ তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ এসেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রাম, আড়িয়াদহ, পাণ্ডুয়া, তারকেশ্বর সহ একাধিক জেলায় প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কলকাতাতেও উত্তেজিত জনতার মারের শিকার হয়েছেন কয়েকজন। গণপিটুনির অভিযোগে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো আইনের শাসন নিয়ে গভীর উদ্বেগের কারণ তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, আইনের শাসন কি হারিয়ে যাচ্ছে? কেন মানুষ আইনের হাত নিয়ে নিজেরাই বিচার করছে?