scorecardresearch
 

সর্বনাশা মোবাইল গেমের নেশা, আলিপুরদুয়ারে আত্মঘাতী নবম শ্রেণির ছাত্র

আলিপুরদুয়ার ঘাগড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত ওই ছাত্র। বছর সাতেক আগে তার বাবা মারা যান। অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান তার মা। মৃত ওই ছাত্রের আরও ২ দিদিও রয়েছে। তবে তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পরিবারের একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাকি সদস্যরা।  

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মোবাইল গেমের আসক্তিতে ফের আত্মহত্যা
  • আত্মঘাতী নবম শ্রেণির ছাত্র
  • বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন মা

মোবাইল গেমে (Mobile Game) চরম আসক্তির জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নবম শ্রেণির ছাত্র। মোবাইল গেম ফ্রি ফায়ার খেলার জন্য পরিচারিকা মায়ের কাছ থেকে নেটপ্যাক রিচার্জের টাকা না পেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে খবর। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ১ নম্বর ব্লকের ঘাঘড়া সোনালিপাট এলাকায়। একমাত্র পুত্র সন্তানের আত্মহত্যার জেরে ঘনঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন ওই ছাত্রের মা। 

এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুশীল দাস বলেন, "পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত ওই ছাত্রের মা কাকলি রায় অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। রবিবার বিকেলে ওই কিশোরের মোবাইলের নেটপ্যাক শেষ হয়ে যায়। এরপর ওই ছাত্র তার মায়ের কাছে মোবাইল রিচার্জের টাকা চেয়ে বায়না করে। কিন্তু সংসারে চরম আর্থিক অনটন থাকায় তাঁর মা মোবাইল রিচার্জ করে দিতে পারেননি। অবশেষে বাড়িতে থাকা রেশনের গম ও আটা বিক্রি করে মোবাইল রিচার্জ করে ওই ছাত্র। তা জানতে পেরে মা বকাবকি করতেই বাড়ির পাশের বাতাবি লেবুর গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে।" খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার ঘাগড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত ওই ছাত্র। বছর সাতেক আগে তার বাবা মারা যান। অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান তার মা। মৃত ওই ছাত্রের আরও ২ দিদিও রয়েছে। তবে তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পরিবারের একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাকি সদস্যরা।  

ময়নাতদন্তের পর মৃত ওই ছাত্রের দেহ বাড়িতে নিয়ে যান পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা। ছেলের মৃত্যুতে বারেবারেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ছেন তার মা। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য্য বলেন,"ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত করা হচ্ছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।"

Advertisement


 

Advertisement