Beldanga: বেলডাঙা সংঘর্ষের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্টারনেট পরিষেবা। মুর্শিদাবাদের জেলাজুড়ে নেট বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গেছে। ফলে অনলাইন লেনদেন, চিকিৎসা পরিষেবা, শিক্ষা পোর্টাল ব্যাহত হচ্ছে। তবে এতদিন নেট বন্ধ রাখায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ বেড়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যে কারণে চার জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সংখ্যালঘুদের নিশানা করে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মালব্য।
মঙ্গলবার বেলডাঙায় দুর্গা ও কার্তিক পুজোয় সংঘর্ষ প্রসঙ্গে দুষ্কৃতীবাহিনীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ভোট ব্যাঙ্ক' বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গুণ্ডাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। রাজ্য প্রশাসন এ ধরনের সংঘর্ষে দায়ী।
সাংবাদিক বৈঠকে ফালাকাটা, গার্ডেনরীচ, বজবজ, বেলডাঙার কার্তিক পুজো ও রাজাবাজারের কালীপুজোর উদাহরণ টেনে শুভেন্দু বলেন, প্রতিটি পুজোর অনুমতি ছিল, তা সত্ত্বেও সরকার সুরক্ষা দেয়নি। আরও বলেন, "দুষ্কৃতীরা বিশেষ সম্প্রদায় থেকে রয়েছেন বলে পুলিশের সাহস নেই এদের কেশাগ্র স্পর্শ করার।" পুলিশ অনুমোদিত পুজোগুলিতে সুরক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
বেলডাঙা নিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "হিন্দু, সনাতনীর সংখ্যা কম হলে কী হতে পারে তা দেখতে পারছেন। এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যাব। যতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের তিনভাবে সাহায্য করবে। এফআইআর করায় সাহায্য করবে বিজেপি। ক্ষতিগ্রস্তদের আইনী সাপোর্ট দেওয়া হবে। যত দোকান ভাঙচুর হয়েছে দল বা সনাতনীদের থেকে সংগ্রহ করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেব। আর যতগুলি মন্দির ভাঙচুর হয়েছে সেগুলি পুনঃসংস্কারের অর্থ দেব। আমাদের ৬৭ জন বিধায়কের বেতন থেকে অর্থ দিয়ে মন্দির সংস্কার করব।"
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। অগ্নিসংযোগ করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। রেল অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা হয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। ওই এলাকায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপালও। এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অবিলম্বে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। উনি খুবই উদ্বিগ্ন।' বেলডাঙার ঘটনার জেরে সব কর্মসূচি বাতিল করেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি।