টেস্ট পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে শিক্ষিকাদের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় মিউরিয়েটিক অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নরসিংহ নগর এলাকার ঘটনা। আত্মঘাতী ছাত্রীর নাম পাপিয়া পাল। ঘটনায় শোকে পাথর পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত পালের মেয়ে পাপিয়া পাল স্থানীয় শরৎকুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার স্কুলে টেস্ট পরীক্ষা ছিল। সেই সময় নকল করতে গিয়ে শিক্ষিকাদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় পাপিয়া। পরিবারের দাবি, এরপর সমস্ত ছাত্রীদের মধ্যে তাকে কান ধরে উঠবস করানোর জেরেই অপমানিত বোধ করে সে। আর তার জেরেই বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরে হাতমুখ ধোওয়ার জন্য বাথরুমে গিয়ে মিউরিয়েটিক অ্যাসিড খায় পাপিয়া।
এদিকে বাথরুম থেকে বেরোতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে পাপিয়াকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছানোর আগে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর রবিবার বিকেলে দেহ বাড়িতে পৌঁছাবে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, অপরাধবোধ থেকেই হয়তো হীনমন্যতা জন্মেছিল পাপিয়ার মধ্যে। তবে তাকে কোনওরকম শারীরিক বা মানসিক অপমানজনক শাস্তি দেওয়া হয়নি। আর তা ক্লাসরুমে থাকা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে বলে দাবি প্রধান শিক্ষিকার।