বামদের একুশের ব্রিগেডে সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিলেন 'ভাইজান।' তখন ভাইজান বলতে বামেদের অনেকেই আব্বাস সিদ্দিকীকে চিনতেন। আব্বাস-সহ সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের দেখা গিয়েছিল এক মঞ্চে। ছিলেন বিমান বসু, অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মধ্যমণি ছিলেন আব্বাসই। এখন আব্বাস কার্যত অন্তরালে চলে গিয়েছেন। সামনে এসেছেন অন্য এক 'ভাইজান'। ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তাঁকে আজ, রবিবার বাম যুবদের ব্রিগেড সমাবেশে দেখা গেল না!
একুশের পর ফের ব্রিগেডে বামেরা। তবে এবার সংযুক্ত মোর্চা নয়, যুব সংঠনের হাত ধরেই পতপত করে উড়ছে লাল পতাকা। তবে সেখানে সশরীরে না গেলেও বাম ব্রিগেডের সাফল্য কামনা করলেন নওসাদ সিদ্দিকী। বললেন, “যাঁরা বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই যাঁরা করছেন তাঁদের পাশে শারীরিকভাবে না থাকতে পারলেও মানসিকভাবে পাশে আছি। আশা করছি এই সমাবেশের উদ্দেশ্য সফল হবে। ওদের সাফল্য কামনা করছি।”
এদিন নওসাদ ডানকুনিতে রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। সেখান থেকে ফোনে বললেন, 'আমায় কোনওরকম আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা সংযুক্ত মোর্চার বিষয় নয়। ডিওয়াইএফআই করছে। ওদের নিজস্ব ব্যাপার।'
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেবার সিপিএম-এর ব্রিগেডের মঞ্চে অনেকখানি জুড়ে ছিলেন আইএসএফ নেতা তথা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। এমনকী, আব্বাসকে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আর এক জোটসঙ্গী কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকেও বলার সুযোগ না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। সেই নওসাদকে রবিবার ব্রিগেডের মাঠে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকা ইনসাফ সমাবেশে আমন্ত্রণে না জানানোর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।