scorecardresearch
 

Chandra Kumar Bose Quits BJP: 'আদর্শগত মতানৈক্য', বিজেপি ছাড়লেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু

Chandra Kumar Bose Quits BJP: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ১৩৪তম জন্মদিনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র জেপি নাড্ডাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
'আদর্শগত মতানৈক্য', বিজেপি ছাড়লেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। 'আদর্শগত মতানৈক্য', বিজেপি ছাড়লেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু।
হাইলাইটস
  • নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ১৩৪তম জন্মদিনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু।
  • ইতিমধ্যে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র জেপি নাড্ডাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

Chandra Kumar Bose Quits BJP: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় দাদা শরৎচন্দ্র বসুর ১৩৪তম জন্মদিনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র জেপি নাড্ডাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডাকে সম্বোধন করা তাঁর চিঠিতে চন্দ্র বসু লিখেছেন, “আমি যখন বিজেপিতে যোগদান করি, তখন আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে আমাকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং শরৎচন্দ্র বসুর মতাদর্শ প্রচার করতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু বাস্তবে সে রকম কিছুই হয়নি৷”

তিনি তাঁর চিঠিতে এ-ও লিখেছেন যে, “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আজাদ হিন্দ মোর্চা গঠনের, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়কে ভারতীয় হিসেবে একত্রিত করা এবং নেতাজির আদর্শ প্রচার করা। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এটি অপরিহার্য।” 

তিনি সংবাদস্থা ANI-কে বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৬ সালে আমি বিজেপিতে যোগ দিই। আমার দাদু শরৎচন্দ্র বসু ও তাঁর ভাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁরা প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে ভারতীয় হিসেবেই দেখতেন। তাঁরা সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধেই লড়াই চালিয়েছিলেন। বঙ্গ বিজেপির স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আমি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একাধিকবার নানা প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু আমার কোনও প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি। এর পর আর দলে থাকার কোনও মানে হয় না।”

Advertisement

বেশ কিছুদিন ধরেই চন্দ্রকুমার বসুকে বিজেপির নীতির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে তিনি ইন্ডিয়া বনাম ভারত ইস্যুতে নিজের মতামত দেন। চন্দ্র বসু বলেন যে, “এর (নাম পরিবর্তন করার) কোনও প্রয়োজন নেই। সরকারের উচিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেওয়া। নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করার আগে সরকারের উচিত দেশের নাগরিকদের মতামত নেওয়া।” একাধিক কারণে তাঁর পক্ষে বিজেপিতে থাকা সম্ভব হয়ে উঠছিল না বলেই জানিয়েছেন চন্দ্র বসু।

Advertisement