স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কিছুটা রদবদল করা হল। এই প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবায় নিয়ম বদলানো হল। মঙ্গলবার এই নয়া নিয়মের কথা জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে ইমার্জেন্সি অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে নিয়মে রদবদল করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম কী?
* নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
* দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রামাণ্য সরকারি নথি জমা দিতে হবে। তা হলেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচারের সুবিধা মিলবে।
* সরকারি পোর্টালে আগে থেকে নথিভুক্ত করা অর্থোপেডিক সার্জেনকে দিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
* যে সার্জেনের নাম নথিভুক্ত করা থাকবে, তাঁকে দিয়ে অস্ত্রোপচার না করালে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা মিলবে না।
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি ঠেকাতে নজরদারিরও উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল থেকে রোগীর পরিজনদের কাছে যে টাকা দাবি করা হয়, তাতে কোনও কারচুপি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নজরদারি দল তৈরি করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কোনও হাসপাতালের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর চিকিৎসা করাতে না চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে অতীতে সরব হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অতীতে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গত বছরের জুলাই মাসে বিধানসভার অধিবেশনে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করতে হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। তা না হলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এর আগে, ২০২০ সালে মমতা বলেছিলেন, 'যদি কেউ পরিষেবা না দেন, তা হলে লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হবে। সরকারের কাছে লাইসেন্স নিয়ে হাসপাতাল চলে। কড়া পদক্ষেপ, জরিমানা করা হবে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে কি না, তা ভেবে দেখা হবে।'