তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গেলেন রেস্তোরাঁ মালিক। শুক্রবার নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনার পর থেকেই রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
নিরাপত্তা চেয়ে ও তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আনিসুল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হার একক বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দেন আনিসুল ইসলামকে। তাঁদের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্যমকে আনিসুল জানান, 'ঘটনাটি গত শুক্রবারের। আজ বুধবার হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত দেখতে পাইনি। বিচারব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি বিচার পাব। আমি চাই যথাযথ তদন্ত হোক। নিরাপত্তার অভাবও বোধ করছি। পুলিশের তদন্তে আমি খুশি নই, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিতর্কে জড়ান বিধায়ক সোহম। এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ক্ষমাও চান তৃণমূল বিধায়ক। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেজাজ হারিয়ে কারও গায়ে হাত তোলা উচিত হয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত রেস্তোরাঁ মালিক। আর এই ঘটনায় এবার মুখ খোলেন ঘাটালের অভিনেতা সাংসদ দেব।
মঙ্গলবার সকালে সোহম প্রসঙ্গে দেব মন্তব্য করে বলেছিলেন, "জনপ্রতিনিধি বলে নয় মানুষ হিসেবেও এরকম আচরণ ভালো নয়। বন্ধু মানে সবটা ভালো তা নয়। সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি নিজে ওকে ফোন করে যা বলার বলেছি। জনপ্রতিনিধির আলাদা দায়িত্ব থাকে, তাঁদের এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।"
যদিও দেবের এমন মন্তব্যে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। দেব দাদাগিরি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।