scorecardresearch
 

TMC-Congress Seat Sharing in West Bengal: বাংলায় কি আসন সমঝোতা করছে না তৃণমূল? ৪২ আসনেই প্রার্থী!

বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল। শুক্রবার সূত্র মারফৎ এই খবর জানা গিয়েছে। এমনকী, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কেন্দ্রেও প্রার্থী দিতে পারে জোড়াফুল শিবির। যার ফলে লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা কার্যত অনিশ্চিত।

Advertisement
হাইলাইটস
  • লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে।
  • বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল।
  • জোট না করার জন্য মমতাকেই 'দায়ী' করেছিলেন অধীর। 

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে। বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল। শুক্রবার সূত্র মারফৎ এই খবর জানা গিয়েছে। এমনকী, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কেন্দ্রেও প্রার্থী দিতে পারে জোড়াফুল শিবির। যার ফলে লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা কার্যত অনিশ্চিত। বস্তুত, বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে 'একলা লড়াইয়েরই' বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক দিনে তৃণমূল বনাম প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে তিক্ততাও প্রকাশ্যে এসেছিল। জোট না করার জন্য মমতাকেই 'দায়ী' করেছিলেন অধীর। 


২০২৪ সালের নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে হঠাতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধী নেতারা। তৈরি হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। গত বছরের শেষ দিকে দিল্লিতে শেষ বৈঠক হয়েছে জোটের। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বিরোধীদলগুলির মধ্যে। এই আবহে বাংলায় আসন রফা হবে কি না, সে নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই কয়েক দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মিসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সারা দেশে থাকবে ইন্ডিয়া। বাংলায় তৃণমূল লড়াই করবে। তৃণমূলই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা দেশকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও দল নয়।' মমতার এ হেন মন্তব্য ঘিরেই রাজনীতির ময়দানে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, লোকসভার লড়াইয়ে বাংলায় একাই লড়তে চায় তৃণমূল। আসন সমঝোতার প্রশ্নে মমতা আগেই জানিয়েছেন, রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, তারাই জোটে মুখ্য ভূমিকা পালন করুক। 


মমতার এই মন্তব্যের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, 'মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে বার বার হারিয়েছি, মালদহে হারিয়েছি। আমরা বলছি না, সারা বাংলা দখল করব। যেখানে কংগ্রেস আছে সেখানে লড়বে, জিতবে। আমরা লড়েছি, লড়ছি, লড়ব।' এর পরই মমতাকে নিশানা করে অধীর বলেছেন, 'দিদি সব জায়গায় ঠিক করছে মোদীর বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবেন। এই নাটক দেখতে আমরা অভ্যস্ত। মাথা মুণ্ড নেই। বাংলায় কংগ্রেস তার মতো করে লড়ছে। দিদিই জোটের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। দিদি নিজেই জোট চান না। কারণ অসুবিধা আছে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। বাংলায় কংগ্রেস নিজের লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। কে এল, গেল, যায় আসে না।' মমতাকে নিশানা করে অধীর আরও বলেছেন, 'আমরা কারও কাছে ভিক্ষে চাই না। আমরা মমতার দয়া চাই না। আমরা একাই ভোটে লড়তে পারি।' আসন সমঝোতার প্রশ্নে সম্প্রতি মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, মালদা দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছেন মমতা। তার পরেই একলা লড়াই নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন মমতা। 

আরও পড়ুন

Advertisement

এর মধ্যেই জানা গিয়েছিল,বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়াতে চায় তৃণমূল। গত বার ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ, এই দুই কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। এই ২টি আসনই কংগ্রেসের 'হাতে' ছাড়তে রাজি হয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে মাত্র ২টি আসন ছাড়া নিয়ে জোড়াফুলের এই প্রস্তাবে রাজি হননি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। যা নিয়েই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি সরাসরি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন, তা হলে কংগ্রেসকে আরও ১-২টি আসন ছাড়তে পারে বাংলার শাসকদল। এ কথা প্রকাশ্যে আসার পর অধীর মমতাকে 'বেইমান' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এ-ও বলেছিলেন যে, সনিয়া তাঁর (মমতা) কাছে ভিক্ষা চাইবেন না।


অতীতে ২০০১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল তৃণমূল। পরে ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরেছিল বাংলার বর্তমান শাসকদল। 


 

Advertisement