আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নৈহাটিও। এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারে সরগরম গোটা চত্বর। এর মাঝেই ঘটে গেল সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। শিবদাসপুরে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ঘাসফুল শিবিরের ওই নেতা।
জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রি সাড়ে নটা নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত তৃণমূল ব্লক-১-এর নেতা রানা দাশগুপ্তর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। নৈহাটির শিবদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পেপার মিলের সামনে দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাও ছোড়া বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি । গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির কাচ ফুটো হয়ে বেরিয়ে যায়। এরপরই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বীজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়প্রকাশ পান্ডে এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার তুষার কান্তি পাঠক।
রাতেই এই হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় । এর প্রতিবাদে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে উপর হালিশহর পাঁচ মাথার মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চালায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমদম ব্যারাকপুর মহিলা সাংগঠনিক সভাপতি সোনালী সিংহ রায়।
রানা জানান, "পলাশী মাঝিপুর থেকে ফেরার পথে বাথরুম করতে নামি। সে সময় হঠাৎ করে একটা আওয়াজ হয়, একটি বোমাও মারা হয়। সেই আওয়াজ ও ধোয়া দেখেই আমি বুঝতে পারি যে আমার উপর হামলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে উঠে পড়ে পালিয়ে আসি। পরে এসে পুলিশকে খবর দিই। আমার দলের নেতাকর্মীরাও ছুটে আসে।"
রানার গাড়ির চালক সুমন বোস জানান "আমরা রানা দাকে নিয়ে শিবদাসপুর এলাকায় একটা মিটিং-এ ছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি তারপরে বোম ছোড়া হল। সেসময়ে রানাদা নীচে নেমেছিলেন, আমিও গাড়ি থেকে সামান্য একটু বেড়িয়েছি। হঠাৎ করেই আবার যে যার মতন গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যাই। গাড়ি ফুটো হয়ে বুলেট ভেতরে ঢুকে গেছে। তবে কোন ব্যক্তি হতাহত হয়নি। আক্রমণকারীরা সংখ্যায় দু'জন ছিল, তারা বাইকে করে এসছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং একটি গুলির খোল উদ্ধার করে।"