দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিনে আবর্জনার স্তূপে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের পরিচয় প্রকাশ্যে এল। ওই মহিলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুড়াগাছা কালীতলা পারুল গ্রামের বাসিন্দা। মগরাহাটে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নিহত মহিলা পরিচারিকার কাজ করতেন। অভিযোগ, এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কারণেই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। মহিলার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, মহিলাকে প্রথমে মাথায় আঘাত করা হয়। তারপরে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। খুনের পর দেহ টুকরো করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিনে আবর্জনার স্তূপে এক মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
সূত্রের খবর, কাটামুণ্ডটি প্রথমে দেখতে পান প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও। মহিলার বাকি দেহাংশের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, কাটামুণ্ড থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। যা দেখে আন্দাজ করা হচ্ছে, বেশি সময় আগে খুন করা হয়নি।
অন্য দিকে, কলকাতার ফুটপাথে ৭ মাসের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় বুধবার রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনাকে 'অরাজক অবস্থা' বলে বর্ণনা করেছে কমিশন। নির্ভয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কমিশন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে NHRC। কমিশনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ৩০ নভেম্বর কলকাতায় ফুটপাথ থেকে এক সাত মাসের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নিগ্রহ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। ফুটপাথবাসী এক দম্পতির ওই শিশুকন্যা। ফুটপাথে বাচ্চাটিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন কয়েক জন।