ফের বিজেপি-তৃণমূল তরজায় উত্তপ্ত হল পরিবেশ। একে অপরের দিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, মারধর, ঘটনাস্থলে পুলিশও আসে। অভিযোগ বিজেপির জয় শ্রীরাম স্লোগান না বলায় তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শ্যামনগর আতপুর নিমতলা মোড় এর কাছে এটিএম-এ টাকা তুলতে এসেছিল তৃণমূল কর্মী কাজল দে। টাকা তুলে বের হওয়ার সময় তাকে কিছু বিজেপি কর্মী ঘিরে ধরে এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে বলেন। কিন্তু কাজল জয় শ্রী রাম না বলে জয় বাংলা বলে ধ্বনি দেয়। এরপরেই বাধে বচসা।
তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় তৃণমূল কর্মী কাজল দে-কে। মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান কাজল। এরপর তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জগদ্দল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। সেখানেই আহতের মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে।
আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কাজল দের দাবি, জয় শ্রীরাম না বলাতেই তাকে মারধর করা হয়। এদিন তিনি বলেন "আমি এটিএমে গিয়েছিলাম টাকা তুলতে। ফেরার পথে আমাকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি বলতে বলা হয়। বদলে জয় বাংলা বলেছিলাম। তৃণমূল করি তাই জয় শ্রীরাম বলবো না। সে কারণেই আমাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হলো। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম, আমাকে হুমকি দেওয়া হয় যে জয় শ্রীরাম না বললে মেরে ফেলে দেওয়া হবে।" অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভাটপাড়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা সৌরভ সিং এর সহযোগী বলেও দাবি করেন কাজল।
যদিও মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এটি তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে জানালেন বিজেপি নেতা সৌরভ সিং। তিনি বলেন, জয় শ্রীরাম একটা স্লোগান হয়ে গেছে। কাজ করতে গেলে জয় শ্রীরাম বলতেই হবে। তার দাবি ভাগাভাগি নিয়ে এখানে তৃণমূলের দুটির গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। সৌরভ আরও বলেন "যতদূর জানি আমাদের ছেলেরা ওখান দিয়ে যাচ্ছিল তারা বলেছে জয় শ্রীরাম এবং তৃণমূলের লোকেরা জয়বাংলা বলেছে। এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত।''