Suvendu Adhikari: নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপি নেতার বাবাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর। বাকিবুর রহমান ও তার ভাগ্নে প্রবল লুঠতরাজ চালিয়েছেন, এই বাকিবুরের জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।
তিনি আরও বলেন, "চোরদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী উদয় হন। খাদ্য দফতরের ওপর এখনও কন্ট্রোল রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তিনি নেই, তাঁর লোক তো বসিয়ে রেখেছেন। নোটবন্দির সময় জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রীয়ের ৪ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। হেন কুকর্ম নেই বাকিবুর রহমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রীও কি ৭০-৭৫ শতাংশ পেত?"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির হানা নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন সে অসুস্থ, মরে গেলে কী হবে? তারই পাল্টা শুভেন্দু বলেন, "ভারতবর্ষের আইনে অসুস্থ হলে তার ব্যবস্থা আছে। আপনার প্রিয় কাকুকে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে রেখেছেন কেন?"
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বাড়ির পাশাপাশি উত্তর কলকাতায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরই মধ্যে মিষ্টি হাতে সল্টলেকে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হাজির হন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিছকই বিজয়া শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন।
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বাড়িতে ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে জ্যোতিপ্রিয়ের নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয়ের দু’টি বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির দল। একই সঙ্গে তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে-র দু’টি ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।