বিজেপি কর্মীকে সরাসরি ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানি মা অমৃতা রায়কেও। এবার ফোন করলেন মালদার বিজেপি কর্মীকে।
ফোনে মোদী প্রশ্ন করেন, ঠিকভাবে প্রচার চলছে তো? সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন তো? বিজেপি কর্মী লতিকা হালদারকে ফোন করে জানতে চাইলেন মোদী। ফোনে প্রথমেই লতিকা দেবী কোনও কেন্দ্রের কর্মী তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। উত্তরে লতিকা জানান, মালদা। উল্লেখ্য, তিনি মালদহের হবিবপুরের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য লতিকা।
বিজেপি কর্মী লতিকার বুথে নির্বাচনী অভিযান কেমন চলছে সে বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরে লতিকা দেবী বলেন, আমার ওয়ার্ডে কাজ ভাল চলছে। সবাইকে দায়িত্ব পালনের জন্য বুঝিয়ে দিয়েছি। সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপরই মোদীর মুখে শোনা যায় বাংলায় নির্বাচনী হিংসার কথা। ফোনে মোদী স্পষ্ট বলেন, দেখুন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী হিংসা বড় খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখে দিয়েছে। প্রচার করতে গিয়ে এমন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না তো? উত্তরে লতিকা বলেন, আমি মহিলাদের নিয়ে একজোট হয়ে প্রচার করছি। মোদী বলেন, আপনি তাহলে সব জায়গায় গিয়ে আপনাদের কথা বলতে পারছেন? উত্তরে লতিকা দেবী বলেন হ্যাঁ পারছি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিনামূল্যে রেশনের ব্যাপারেও খোঁজ নেন মোদী। ফোনেই জানতে চান, ভারত সরকার যে বিভিন্ন সময় ফ্রি-তে রেশন দিচ্ছে এটা কী সকলে বুঝতে পারছে? এ ক্ষেত্রেও সদর্থক উত্তরও দেন লতিকা। এরপর ফের আরও একবার নির্বাচনী হিংসার কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদী। জানান, নির্বাচন কমিশন পোক্ত ব্যবস্থাও তৈরি রেখেছে। এরপর মোদী সমস্ত কর্মীদের ধন্যবাদও জানান।
১৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। বাংলায় ভোটের শুরু উত্তরবঙ্গ থেকে। ১৯ এপ্রিল ভোট হচ্ছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। ২৬ মে ভোট দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে। ৭ মে ভোট মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণে।