অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ৩৫ আসন। আরামবাগের লোকসভা ভোটের প্রচারের ঢাকে কাঠি দিয়ে মোদী চাইলেন রাজ্যের সব আসনেই পদ্ম-জয়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক আর তৃণমূলের পাশে থাকবে না। মোদীর হুঁশিয়ারি, লোকসভা ভোট থেকে তৃণমূল বিদায়ের পালা শুরু হয়ে যাবে।
মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। বিজেপিকে রুখতে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটের কিয়দংশ এখনও তৃণমূলের দখলে। কিন্তু সেই ভোট আর অটুট থাকবে না, আরামবাগে বিজেপির সভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'ভোটব্যাঙ্কের অহংকার আছে তৃণমূলের। এই অহংকার ভাঙবে। এবার মুসলিম বোনেরাও তৃণমূলের গুণ্ডারাজকে উৎখাত করবে। এই লোকসভা থেকে তৃণমূলের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের শায়েস্তা করার জন্য কাজে লাগাচ্ছে মোদী সরকার। এমন অভিযোগ করেছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। এ দিন দুর্নীতির অস্ত্রেই জবাব দিলেন মোদী। তিনি বলেন,'অপরাধ ও দুর্নীতির নতুন মডেল তৈরি করেছে তৃণমূল। অপরাধীদের আশ্রয়ও দেয় তারা। শিক্ষক নিয়োগ,পুরনিয়োগ ও গরিবের রেশন নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে। গরিবের জমি দখল, চিটফান্ড, সীমান্তে পশু পাচার- দুর্নীতির কোনও দিকই বাদ দেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নোটের পাহাড়। এত নোট আগে দেখেছেন? তার উপরে এখানকার সরকার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তারা। মোদী এদের ইচ্ছামতো চলতে দিচ্ছে না। তাই মোদীকে দুশমন নম্বর ওয়ান ভাবে। আপনারা বলুন, তৃণমূলের লুঠ চালাতে দেব নাকি, এটা আপনাদের টাকা। আপনাদের মেহনতের টাকা। অন্যদের লুঠতে দেব?'
সেই সঙ্গে যোগ করেন,'লুঠেরাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছি। লুঠেরাদের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। বাংলার জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, মোদী কাউকে ছাড়বে না। এদের গালি, হামলাকে ভয় পায় না মোদী। আমি পশ্চিমবঙ্গের বোন ও গরিব, যুবদের গ্যারান্টি দিয়েছি। মোদীর গ্যারান্টি, যারা গরিবদের লুঠেছে, তাদের ফেরত দিতে হবেই।'
একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে তাদের জনসভাও রয়েছে। মোদীর দাবি, কেন্দ্রের টাকাও লুঠেছে তৃণমূল। তিনি বলেন,'কেন্দ্র থেকে পাঠানো টাকায় ভাগ বসাচ্ছে তৃণমূল। গরিবদের ঘর তৈরি করতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। গোটা দেশে ৪ কোটির বেশি পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গরিব পরিবারের জন্য ৪৫ লক্ষ ঘর তৈরির জন্য ৪২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার গরিবদের ঘর বানানোর কাজ করছে না। ঘর তৈরি করতে পারে খালি বিজেপি আর মোদীই। পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছনোর কাজ করছে সরকার। এ রাজ্যে কচ্ছপের গতিতে কাজ করছে সরকার।'