TMC-র মানে এখন তু-ম্যায় করাপশান হি কোরাপশান। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া আক্রমণ হানলেন প্রধানমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে 'বঞ্চনা' ইস্যুতে গত কয়েক মাসে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের সভায় তার পাল্টা জবাব দিলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখন TMC-র মানে বদলে গিয়েছে। TMC-র নতুন মানে তু-ম্যায় করাপশান হি করাপশান।'
গত কয়েক মাস ধরে বকেয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এদিন সেই ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গই উঠে এল মোদীর ভাষণে। যুবসমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবরা একটি তথ্য দিন, MGNERA-তে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি হয়েছে। যে জন্মায়নি তারও জব কার্ড তৈরি করেছে। যেটা গরিব শ্রমিকের পাওনা, সেটাও তৃণমূলের তোলাবাজরা তুলে নিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত স্কিমকে স্ক্যামে বদলে দেয়। বিজেপির কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গের ৬ কোটি ভাইবোনকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। আসন্ন ৫ বছরেও সেটা হবে। কিন্তু এই প্রকল্পেও তৃণমূল নিজের স্টিকার লাগায়। এরা গরিবের রেশন লুটতেও পিছপা হয়না।'
তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরপর দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এখানে যেভাবে তৃণমূলের রাজনীতির খেলা চলছে, তা বাংলাকে হতাশ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু টিএমসি অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতার অপর নাম হয়ে গিয়েছে। টিএমসি-র কাছে দুর্নীতি ও পরিবারবাদই সবার আগে। (বাংলা)তৃণমূল মানেই বিশ্বাসঘাতক, অত্যাচার। টিএমসি মানেই দুর্নীতি। পরিবারবাদ।'
জনসভায় আসার আগে, এদিন কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভায় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ৪ লেন জাতীয় সড়কের প্রকল্প উদ্বোধন। এর পাশাপাশি বাজারসৌ-আজিমগঞ্জ ডবল লাইন রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন মোদী। তিনি জানান, এই প্রকল্পে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।