আগামী ৭ মার্চ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেই মোদীকে সভা করানোর ইচ্ছা ছিল তাঁদের। কিন্তু যাতে কোনও বাধা না আসে, তাই উত্তর ২৪ পরগনারই বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সুকান্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'সন্দেশখালির মা-বোনদের রক্ষা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।' সূত্রের খবর, সেই সভা সেরেই প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রোর ঐতিহাসিক সফরে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে। অর্থাৎ, ওইদিনই উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে হাওড়া মেট্রোর।
পাশাপাশি মেট্রো সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালুর জন্য কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র (সিআরএস) চূড়ান্ত ছাড়পত্র চলে এসেছে। অন্যদিকে, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) মেট্রো রুটও এক বছর ধরে যাত্রী পরিষেবার জন্য প্রস্তুত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই এই রুট চালুর জন্য সিআরএসের প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছিল। একইভাবে তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মাত্র একটি স্টেশনের সম্প্রসারিত অংশে মেট্রো চালানোর সবুজ সঙ্কেতও আগেই মিলেছে। সেক্ষেত্রে আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই তিনটি মেট্রো প্রকল্পে যাত্রী পরিষেবা শুরু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৭ মার্চ বারাসতে 'মহিলা ন্যায়' সমাবেশে বক্তৃতা পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সন্দেশখালি নিয়ে একাধির প্রসঙ্গ প্রধানন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সন্দেশখালিকে পরিকল্পনামাফিক অশান্ত করা হয়েছে। এদিন সিউড়ির অনুষ্ঠান থেকে কার্যত এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সন্দেশখালির কোনও মহিলা অভিযোগ দায়ের করেননি। তা সত্ত্বেও পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় দোষী করেছেন বিজেপিকে।