scorecardresearch
 

মিম-এর ঘরে পুলিশি হানা? তপ্ত লালাগোলা

মিম (MIM)-এর সভায় পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ছিল তৃণমূলের পরোক্ষ মদতও। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)-এর লালগোলা (Lalgola)-য়।  যদিও তৃণমূল, পুলিশ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন লালগোলায় শ'দুয়েক তৃণমূল (Trinamool) কর্মী মিম-এ  যোগ দিয়েছেন।

Advertisement
আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূলের আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূলের
হাইলাইটস
  • মিম-এর সভায় পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগ
  • অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও
  • সব অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল, পুলিশের

মিম (MIM)-এর সভায় পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ছিল তৃণমূলের পরোক্ষ মদতও। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)-এর লালগোলা (Lalgola)-য়।  যদিও তৃণমূল, পুলিশ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন লালগোলায় শ'দুয়েক তৃণমূল (Trinamool) কর্মী মিম-এ  যোগ দিয়েছেন।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম বা মিম) লালগোলার কালমেঘা অঞ্চলের হোসনাবাদ এলাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেটা ছিল তাদের ঘরোয়া সভা। এদিন হোসেনাবাদ হাই স্কুল সংলগ্ন আবু হায়াতের কোচিং সেন্টারের ঘরে ওই অনুষ্ঠান চলছিল। রমজান আলি নামে এক ব্যক্তি ওই বাড়ির মালিক। ওই বাড়িতে মিমের রাজনৈতিক ঘরোয়া সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে শাসকদল তৃণমূলের মদতে স্থানীয় থানার পুলিশবাহিনী বানচাল করে দেয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দলের কর্মী-নেতাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। পুলিশের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মিম-এর স্থানীয় নেতারা।

এদিন লালগোলা ব্লকের কালমেঘা অঞ্চলে প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী দল ছাড়লেন। তাঁরা যোগ দিয়েছেন মিম-এ। দলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক আসাদুল শেখের হাত ধরে তাঁরা মিম-এ যোগ দেন।

দিন কয়েক আগে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম বা মিম)-এর বাংলার প্রধান আনোয়ার পাশা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দলের আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মিমের সদস্যরা ধাপে ধাপে তৃণমূলে যোগ দেবেন। তৃণমূলের যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে আনোয়ার পাশা জানান, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারেন।

আনোয়ার পাশা জানান, বিহারে যা হয়েছে, তা চিন্তার। এআইএমআইএম ওখানে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়েছিল। জিতেছে পাঁচটিতে। সেখানে পুরো ব্যাপারটার মেরুকরণ করেছে তারা। এটা খুব ভয়ঙ্কর জিনিস। আপনি একটা আসনে লড়ে আশপাশের পাঁচটি সিটে মেরুকরণের প্রভাব ফেলতে পারেন। আমি তো বলব উনি কন্ট্রাক্টর। বিজেপি চললে রাস্তায় কোনও নালা পড়লে সেতু বানানোর জন্য যেমন সিভিল কন্ট্রাক্টরকে ডাকা হয়, তেমন ওঁকে ডাকা হয়। আমাদের সেই কন্ট্রাক্টরের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, বাংলায় সব ধর্মের সহবস্থান রয়েছে। সেখানে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোট ভাঙিয়ে বিহারে শাসন ক্ষমতায় এসেছে গেরুয়া শক্তি। বিহারে যা হয়েছে তা বাংলায় হতে দেওয়া যাবে না। তাদের রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।

Advertisement