বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, আর এই অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি নদিয়া জেলার রানাঘাট থানার বেলডাঙ্গা এলাকায়। জানা যাচ্ছে এক নার্সিং ছাত্রীর সঙ্গে নিয়মতি সহবাস করেছেন ওই পুলিশকর্মী। কিন্তু ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হতেই বিয়ে করতে অস্বীকার করে সেই তরুণ। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর নাম উত্তম সরকার (৩৪)। বাড়ি নদিয়া জেলার রানাঘাট থানার বেলডাঙ্গা এলাকায়। বর্তমানে সে আসানসোলে রাজ্য পুলিশের ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের একজন কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। বছর দেড়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে উত্তম সরকারের সঙ্গে আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা নার্সিং পাঠরকা এক ছাত্রীর। তারপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই পুলিশ কর্মী যুবতীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে।
যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তম তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেছে। বর্তমানে তিনি ছয় মাসের অন্ত:সত্ত্বা। এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বেঁকে বসে উত্তম। উপায় না পেয়ে গত ২২ মার্চ উত্তম সরকারের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। ঘটনার তদন্তে নেমে গোপালনগর থানার পুলিশ সোমবার রাতে নদীয়া জেলার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী উত্তম সরকারকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।