scorecardresearch
 

এবার পোস্টার প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে, তৃণমূলে না নেওয়ার দাবি

মঙ্গলবার হুগলির কোন্নগরে পোস্টার দেখা গেল বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে। পোস্টারে লেখা, 'কোন্নগরবাসীদের দাবি মধুচক্রের নায়ক গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া যাবে না। সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ।' এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলার রাজনীতিতে। 

Advertisement
প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার
হাইলাইটস
  • প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার
  • পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে কোন্নগর
  • প্রবীরকে তৃণমূলে না নেওয়ার আবেদন

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল সিং-এর পর এবার পোস্টার প্রবীর ঘোষালের (Prabir Kumar Ghosal) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার হুগলির কোন্নগরে পোস্টার দেখা গেল বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে। পোস্টারে লেখা, 'কোন্নগরবাসীদের দাবি মধুচক্রের নায়ক গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া যাবে না। সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ।' এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলার রাজনীতিতে। 

এই প্রসঙ্গে এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন,"প্রবীর ঘোষাল দলের অনেক ক্ষতি করেছেন।  তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এই ধরনের মানুষ ফিরলে আবার দলের ক্ষতি করবেন। দিদিকে আমরা মায়ের চোখে দেখি। দিদির কাছে আমাদের অনুরোধ এই ধরনের মানুষকে দলে নেবেন না। কারণ এবারের ভোটে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মানুষ তাঁদের চায় না।"

প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে প্রবীর ঘোষালের। এরপর বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে উত্তরপাড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে পরাজিত হন প্রবীর ঘোষাল। আর নির্বাচনের কয়েকদিন পর থেকেই বর্তমান দল বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। এমনকী কিছুদিন আগে শ্রীরামপুরে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে হওয়া দলের সাংগঠনিক বৈঠকেও দেখা যায়নি প্রবীর ঘোষলকে। তারপর থেকেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা দাঁনা বাধতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে তাঁকে দলে না নেওয়ার আবেদন জানালেন তৃণমূলকর্মীরা। 

তবে শুধু প্রবীর ঘোষালই নয়, ইতমধ্যে এই ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুনীল সিং-এর বিরুদ্ধেও। পোস্টারে তাঁদেরকেও দলে না নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তরফে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে কিছু ঘোষণা করেনি তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে এখন দেখার শেষ পর্যন্ত মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে বাকিদেরও 'ঘর ওয়াপসি' হয় কি না। 

Advertisement

 

Advertisement