টিকিট বিক্রির কাণ্ডারি। এমনই উল্লেখ করে সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan) নামে একাধিক পোস্টার পড়ল বিষ্ণুপুর এলাকায়। তবে বিজেপি সাংসদের দাবি, এটা 'তৃণমূলের কাজ'। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই দলবদল করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। সবুজ শিবির ছেড়ে আসেন গেরুয়াতে। শুধু তাই নয়। জিতেও যান।
সাংসদীয় এলাকায় একাধিক পোস্টার
রবিবার সকালে বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার মেলে। বিষ্ণুপুর কলেজ রোডে বিজেপির জেলা সাংগঠনিক কার্যালয়ের কাছে ও কাটানধার এলাকায় একাধিক দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। পোস্টারে বিষ্ণুপুর মহকুমায় বিজেপির খারাপ ফলের জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়েছে। এর আগে শুধু তাই নয়, জেলার একাধিক পঞ্চায়েত, বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে। সাংসদের জন্যই এমন হয়েছে বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌমিত্রের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় টিকিট বিক্রির অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের সামনেও এই পোস্টার পড়েছে।
একটি পোস্টারে এমনও লেখা হয়েছে, 'যখন হয় বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার তখনই এলাকা ছেড়ে সৌমিত্র পালায়।' সেই পোস্টারেই 'সৌমিত্র দালালের বিদায় চাই' বলেও লেখা হয়েছে। উপরে সৌমিত্রের ছবি, লাল কালিতে ক্রস করা। কোনও পোস্টারে আবার লেখা হয়েছে, 'বিষ্ণুপুরের জনগণ বিরোধী সৌমিত্র খাঁ নিপাত যাক'।
কারা পোস্টার দিয়েছে?
পোস্টারের তলায় লেখা হয়েছে, 'বিষ্ণুপুর লোকসভা, রাজনৈতিক দূষণবিরোধী সামাজিক সচেতন জনগণ' এই পোস্টার দিয়েছে।
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট নেতারা বাংলায় সফর করে গিয়েছেন। বিজেপির লোকসভার লড়াইয়ের রোডম্যাপ এঁকে দিয়েছেন। আর এমনই সময়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে এই পোস্টার। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সৌমিত্রের বিরুদ্ধে এ হেন পোস্টার পড়েছে।
সৌমিত্র খাঁর প্রতিক্রিয়া
সৌমিত্র খাঁ এটি 'তৃণমূলের কাজ' বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'যাঁরা এ সব করেছেন, তাঁদের নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালাম। তবে এ সব করে লাভ হবে না। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৫টি আসন বিজেপি পাবেই।'
শুভেন্দু অধিকারীর মতে...
শুভেন্দু অধিকারী ঘটনায় সৌমিত্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটা তৃণমূলের কাজ। সৌমিত্র চাঙ্গা ছেলে। দল যদি ওঁকে মনোনয়ন দেয়, জিতবে। তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার ছাপাচ্ছে। পুলিশ সঙ্গে আছে। বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। ২০২৪-এর ভোট সৌমিত্র, শুভেন্দু অধিকারীর ভোট নয়। এটা নরেন্দ্র মোদীর ভোট।'