আজ (Today) জরুরী ভিত্তিতে বৈঠকে বসতে চলেছে আলু (Potato) ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। সূত্রের খবর, হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিতে পারে তারা। এর আগেই সোমবারের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের করার চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সময়সীমা পেড়িয়ে যাওয়ার দুই তিন পরেও হিমঘর ফাঁকা না হলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলু বের করার জন্য আরও ১৫ দিনের বাড়তি সময় চেয়ে খাদ্য ভবনে চিঠি দিয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশান (Cold Storage)। আর এবার বৈঠকে বসতে চলেছে আলু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি।
জানা যাচ্ছে, গত ২৭ নভেম্বর নির্দেশিকা জারি করে ৩০ তারিখ অর্থাত সোমবারের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের করতে বলে সরকার। সেই সময় শুধু মাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই মজুত ছিল ২ কোটি ৩৩ লক্ষ বস্তা আলু। মঙ্গলবার পর্যন্ত তার প্রায় ১০ শতাংশ হিমঘরে মজুত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের হিমঘর মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে হিমঘরগুলিতে কম সংখ্যাক কর্মী থাকেন। তাছাড়া এত কম সময়ের আলুর বস্তা বের করা সম্ভব নয়। সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও তা করা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ১৫ দিন বাড়তি সময় চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হচ্ছে, বর্তমানে হিমঘরে রয়েছে ৫ লক্ষ টন আলু। নতুন আলু উঠতেও দেরি আছে। সেক্ষেত্রে মাঝের এই সময়টায় হিমঘরের আলুর প্রয়োজনে হয়। তাই এখন আলু বের করে দিলে কিছুদিন পরেই যোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া পাইকারী বাজারে ইতিমধ্যেই আলুর দাম বস্তা প্রতি কমেছে বলেও দাবি কোনও কোনও আলু ব্যবসায়ীরা।
যদিও সময়সীমা বাড়াতে রাজি নয় সরকার। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানাচ্ছেন, "সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব নয়। কড়া হুঁশিয়ারি দিতেই পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। আর দুই তিন দিন দেখা হবে। তারপর আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া শুরু হবে।" মূলত বাজারে চাহিদা ও যোগানের পার্থক্য রাখার জন্যই এতদিন হিমঘর থেকে আলু কম বের করা হচ্ছিল বলে মনে করছেন কৃষি বিপণন দফতরের কর্তার। যার জেরে ক্রেতাদের প্রায় ৪০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হয়েছে।