সরকারি বাসের ভাড়া এখনই বাড়ছে না। কিন্তু বেসরকারি বাসের ভাড়া নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না রাজ্য সরকার। এমনটাই জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তবে বেসরকারি বাস লাগাম ছাড়া ভাড়া নিলে অবশ্যই সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে স্নেহাশিস জানান, সম্প্রতি জেলার একটি বাসে ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া চাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই বাস মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কিন্তু সরাসরি বেসরকারি বাসের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করবে না রাজ্য। বলছেন পরিবহণ মন্ত্রী।
২০১৮ সালের ১৮ জুন শেষবার বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তারপর থেকে বেড়ছে রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানির খরচ। কোভিডের ধাক্কাও ছিল। ফলে বাস চালিয়ে সেভাবে মুনাফা হচ্ছে না বেসরকারি বাস মালিকদের। সরকারি বাস থেকে আয় কমেছে রাজ্যেরও। দীর্ঘদিন ধরেই বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর আর্জি করে আসছেন। আর সেই কারণেই বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি সরকারি ও বেসরকারি- দুই ধরণের বাসেরই ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করে।
এদিকে এই বিষয়ে একেবারে 'নাক গলাতে' নারাজ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী। স্নেহাশিসের কথায়, 'বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ইতিমধ্যে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তবে সরকারের অবস্থানটা হল, এই ব্যাপারে বাস মালিক ও যাত্রীদের মধ্যেই বোঝাপড়া হোক। সরকার এই বিষয়ে নাক গলাবে না।' তবে বেলাগাম ভাড়া নিলে তাঁর বা পরিবহণ দফতরের কাছে অভিযোগ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। সরাসরি টুইট করেই তাঁর কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।
সরকারি বাস ভাড়া এখনও আমজনতার নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি শহর ও শহরতলির গণপরিবহণের অন্যতম মাধ্যম। বহু মানুষ যাতায়াতের জন্য সরকারি বাসের উপর নির্ভরশীল। এই বাসের ভাড়া বাড়লে তাতে নিত্যযাত্রীদের পকেটে টান পড়তে পারে। দ্য ওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রাস্তায় প্রায় ২,৩০০টি সরকারি বাস চলছে।