করোনার তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুজোর সময় পরস্থিতি কেমন থাকবে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাই অনেকেই পুজোয় প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার পরিবর্তে ছোটখাটো ট্যুরের পরিকল্পনা করছেন। আর যাঁদের এমন ভাবনা রয়েছে তাঁদের এবারের গন্তব্য হয়ে উঠতেই পারে পুরুলিয়া।
পুজোয় পর্যটকদের জন্য বিশেষ মেনু
কোভিডের কারণে গতবছর পুজোয় প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল পুরুলিয়ার (Purulia) পর্যটন ব্যবসা। এবার তাই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পুরুলিয়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলি। তাই পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আশা, এবার পুজোয় হয়ত পর্যটকদের ঢল নামবে অযোধ্যা পাহাড়, বড়ন্তি, গড়পঞ্চকোটের মতো জায়গাগুলিতে। সেই মত আগাম প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে অতিথি নিবাসগুলির। নিতুড়িয়ার গড় পঞ্চকোটে ইকো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সুতপা শীল জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই পুজোর বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আর পুজোয় যাঁরা বেড়াতে যাবেন তাঁদের জন্য থাকছে বিশেষ মেনুও। সাবেকিয়ানার সঙ্গে আধুনিক স্বাদের মেলবন্ধন ঘটিয়ে পর্যটকদের রসনা তৃপ্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি
অতিথি নিবাসগুলির কর্মকর্তারা মনে করছেন, রাজ্যে করোনার টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। পুজোর (Durga Puja) আগেই হয়ত বড় সংখ্যায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ হয়ে যাবে। ফলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়ে পুজোয় পুরুলিয়ায় বেড়াতে যেতে পারবেন পর্যটকরা। সেই মতো আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
অযোধ্যা পাহাড়ের (Ajodhya Hills) কুশল পল্লী রিসর্টের জেনারেল ম্যানেজার সুদীপ্ত সরকার জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় শুধু রাজ্য নয় প্রতিবেশী ঝাড়খন্ড,উড়িষ্যা থেকেও পর্যটকরা যেতে শুরু করেছেন। এই তিন রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ অনেকটাই কম হওয়াতে পুজোয় পর্যটকদের ভিড় জমবে বলেই তাঁরা আশাবাদী। তাঁরা আরও জানান, ইতিমধ্যেই পুজোর বুকিংও শুরু করে দিয়েছেন পর্যটকরা।
অন্যদিকে পুজোয় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে লাভবান হন এলাকার লোকশিল্পীরাও। বিশেষত বাঘমুন্ডির ছৌ মুখোশ শিল্পীদের আর্থিক লাভ ভালই হয়। তাই ওই মুখোশ শিল্পীরাও চাইছেন কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যাতে আছড়ে না পড়ে। তাহলেই বাড়বে পর্যটকদের যাতায়াত। সুদিন ফিরবে তাঁদের।