পূর্ব রেল নারী সুরক্ষায় তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা আরও জোরদার করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরপিএফ) একটি বিস্তৃত অভিযান করছে। ‘অপারেশন মহিলা সুরক্ষা’র অধীনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এক মাসে ১,৭৭৪ জন পুরুষ গ্রেফতার
অগাস্ট ২০২৪ মাস জুড়ে পূর্ব রেলের আরপিএফ বাহিনী ট্রেনের মহিলা কামরায় অবৈধভাবে ভ্রমণকারী পুরুষ যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালায়। এক মাসে রেলওয়ে আইনের ১৬২ ধারায় মোট ১,৭৭৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং ৩,২৪,৪৫০ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণকারী কোনো আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।
নারী ও শিশু সুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ:
ট্রেন এসকর্ট ও নজরদারি:৩৩৯টি ট্রেনে নিয়মিতভাবে আরপিএফ জওয়ানরা নজরদারি করেন।
৭৪টি এক্সপ্রেস ট্রেনে যৌথভাবে পুরুষ ও মহিলা আরপিএফ কর্মীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
১৭০টি স্টেশনে ৩,৮৯৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৭টি স্টেশন সক্রিয়ভাবে আরপিএফ দ্বারা মনিটর করা হয়।
সচেতনতা বৃদ্ধি: স্টেশন ও ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা প্রচার চলছে।
উন্নত পর্যবেক্ষণ:
১২৭টি পরিধানযোগ্য ক্যামেরার মাধ্যমে রিয়েল-টাইম নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে।
'মেরি সহেলি' দল: একা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ১৫টি স্টেশনে 'মেরি সহেলি' দল মোতায়েন করা হয়েছে।
মাতঙ্গিনী স্কোয়াড: মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২৫টি ব্যস্ত স্টেশনে মাতঙ্গিনী স্কোয়াড সক্রিয় রয়েছে।
শিশু উদ্ধার ও পাচার বিরোধী অভিযান
৬টি স্টেশনে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক এবং ‘অপারেশন নানহে ফারিশতে’র অধীনে ১২৫টি শিশু উদ্ধার করা হয়েছে।
মানব পাচার প্রতিরোধে 'অপারেশন এএএইচটি'র অধীনে ৭১টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, যারা আগস্ট মাসে ৯ জন কিশোরকে উদ্ধার ও ৫ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।
আরপিএফ-এর জোরদার উপস্থিতি
পূর্ব রেলওয়ে তাদের বড় স্টেশনগুলোতে আরপিএফ বাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যাতে মহিলা যাত্রীরা নিরাপদ বোধ করতে পারেন এবং যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
পূর্ব রেলওয়ে নারী ও শিশু যাত্রীদের সুরক্ষা ও সম্মান রক্ষায় অবিচল থেকে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে, যা সকলের জন্য একটি নিরাপদ ভ্রমণ পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক।