সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু ও উত্তম হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা দেয় পুলিশ। শনিবার সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিজিপি রাজীব কুমার। এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে গণধর্ষণের ধারা দেওয়া হয় বলে জানান ডিজি। কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ারও আশ্বাস দেন।
ডিজিপি রাজীব কুমার বলেন, "আমরা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। ৬ ফেব্রুয়ারির আগে আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি। ১৪৪ নিয়ে আমরা রিভিউ করব। যেখানে প্রয়োজন নেই ১৪৪ ধারা তুলে দেব। সন্দেশখালির প্রত্যেকটি মহিলার সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক। কোনও অভিযোগ এলে আমরা যুক্ত করব। সেখানে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছিল।"
আরও বলেন, "গত পরশু আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, এছাড়া কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। আমরা সকলের বিরুদ্ধে সমস্ত ব্যবস্থা নেব। এমন নয় যে কাউকে ধরা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ডিজি।
শনিবার সন্দেশখালিকাণ্ডে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করে পুলিশ। এক মহিলার গোপন জবানবন্দির পরেই তাদের বিরুদ্ধে IPC-এর 376D ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শিবু ও উত্তম দুজনেই পলাতক শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারে বিরুদ্ধে গণধর্ষণের সঙ্গে খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের উত্তম সর্দার। সন্দেশখালির মহিলারা গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখ এবং তার সহযোগীদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
এদিকে, শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। এত দিন পরও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা।