সোনারপুর থেকে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা আনছে ইডি। সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র সদর দফতরে নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁকে। প্রসূন চট্টোপাধ্যায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানা গিয়েছে। হাসপাতালে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কাজ করতেন।
আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি। শুক্রবার সকালে ইডি-র টিম সোনারপুরে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালান তাঁরা। তবে এবার প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। গাড়িতে করে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসছে ইডির টিম। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
শুক্রবার সকালেই সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ তিন স্থানে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আরজি কর দুর্নীতি-অভিযোগের তদন্তে নেমেছেন তাঁরা। সকালেই হাওড়া, সোনারপুর ও হুগলিতে পৌঁছে যায় ইডি টিম। হুগলির যে জায়গায় ইডি টিম পৌঁছেছে, সেখানে আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে ইডি আধিকারিকরা আজ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতেও তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন। তবে বাড়ির সদর দরজায় তালা থাকায় তাঁরা প্রবেশ করতে পারেননি।
আরজি করের দুর্নীতির কেসে ইডি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। কারা-কারা এই 'চক্রে'র সঙ্গে জড়িত, তাই নিয়ে তদন্ত করতে পারে ইডি।
সন্দীপ ঘোষ ও বাকিদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ?
গত সোমবার হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার ডাঃ আখতার আলি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বেওয়ারিশ দেহ পাচার, বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য দুর্নীতি, নির্মাণের টেন্ডারে স্বজনপ্রীতির মতো অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি অভিযোগ তুলেছিলেন, সন্দীপ ঘোষের আমলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে অনেক আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এছাড়াও তিনি অনেক অনৈতিক কাজ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন। পড়ুয়াদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো, এবং পরে টাকা নিয়ে পাশ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগও তোলেন এই আখতার আলি। ভিজিল্যান্স কমিটির কাছে গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন।