Kolkata Trainee Doctor Murder Rape Case: আরজি কর কাণ্ডে প্রথমে ময়নাতদন্ত, তারপরে এফআইআর করা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সকাল ৬টায় জুনিয়র চিকিৎসকের দেহ পাওয়া যায়। বিকেল ৪টায় ময়নাতদন্ত করা হয়। রাত সাড়ে ৮টায় দেহ বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই মামলায় প্রথমবারের মতো ধর্ষণ ও হত্যার এফআইআর দায়ের করা হয়। যা নিয়ে বিতর্ক প্রবল।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
মধ্যপ্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পবন জৈন বলেন, সাধারণত যখনই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পায়, তখনই তারা এলাকার ম্যাজিস্ট্রেটকে তা জানিয়ে দেয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে কোনও অপরাধ হয়েছে কিনা। যদি তা হয়ে থাকে, তবে অবিলম্বে অপরাধ নথিভুক্ত করা হবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, হত্যা, আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু মামলা তা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে দেহ মর্গে রাখা হবে।
তবে প্রথমেই যদি বোঝা যায় এটি একটি হত্যা মামলা। কোনও জঘন্য অপরাধ বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা হয়, তবে এই মামলায়ও একটি অপরাধ নথিভুক্ত করা হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে বা জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হলে তা নথিভুক্ত করতে হবে, পুলিশ যেন অপরাধ নথিভুক্ত করতে দেরি না করে।
এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি এ.কে. জৈন বলেছেন, কলকাতা পুলিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের পরে শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করার পর এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর এফআইআর নথিভুক্ত হয়। এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিহত চিকিৎসকের শরীর ও জামাকাপড় দেখে বোঝা গেছিল তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপকের দেওয়া এফআইআর থানায় আসে, তাতে ১২ ঘণ্টারও বেশি দেরি করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় এফআইআর ছাড়া পোস্টমর্টেমও করা নিয়ম বহির্ভূত।