scorecardresearch
 

বর্ষায় নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, আতঙ্কে কুমারগ্রাম

বর্ষার শুরুতেই কুমারগ্রামের বেশ কয়েকটি নদীর ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বেশকিছু চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। প্রথম বর্ষাতেই নদী ভাঙনের এই চিত্রে আতঙ্ক তাড়া করছে কুমারগ্রাম ও দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের। যার জেরে প্রবল বর্ষা শুরুর আগেই কুমারগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শক্তপোক্ত নদীবাঁধ দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষ।

Advertisement
নদী ভাঙনে বাড়ছে আতঙ্ক নদী ভাঙনে বাড়ছে আতঙ্ক
হাইলাইটস
  • প্রথম বর্ষাতেই নদী ভাঙনের আশঙ্কা
  • ভেসে গিয়েছে বেশকয়েকটি সাঁকো
  • আতঙ্ক বাড়ছে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে

প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীগুলোই কুমারগ্রামের মানুষের দুর্দশার কারণ হয়ে ওঠে। ব্যতিক্রম নেই এবারেও। ডুয়ার্সে বর্ষার প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে কুমারগ্রাম ও দুই নম্বর ব্লকের বেশিরভাগ গ্রামের বাসিন্দাদের। বর্ষার শুরুতে অল্প বৃষ্টিতেই বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী বাঁশের সেতু উড়ে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। যার ফলে এক কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে।

বর্ষার শুরুতেই কুমারগ্রামের বেশ কয়েকটি নদীর ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বেশকিছু চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। প্রথম বর্ষাতেই নদী ভাঙনের এই চিত্রে আতঙ্ক তাড়া করছে কুমারগ্রাম ও দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের। যার জেরে প্রবল বর্ষা শুরুর আগেই কুমারগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শক্তপোক্ত নদীবাঁধ দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষ।

কুমারগ্রাম ব্লকের সংকোশ, রায়ডাক, নদীর জলস্ফীতি প্রতিবছর প্লাবন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। গত বর্ষায় সংকোশ ও রায়ডাকের ভাঙনে নদী সংলগ্ন প্রায় ৮ টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। অন্যদিকে বর্ষার জেরে অসম সংলগ্ন এই এলাকার প্রায় ১০০ একর জমিও নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

এই বিষয়ে ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুপ দাস বলেন, "নদীভাঙনের বিষয়টি আমি সেচ দফতরের নজরে এনেছি।" পাশাপাশি সেচ দফতরের কামাখ্যাগুড়ি সাব ডিভিশনের আধিকারিক নির্মলকুমার লঙ্কেশ্বর বলেন, "নদীভাঙন আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়কেটি জায়গায় কাজ শুরুও করা হয়েছে।"

এদিকে চেকোব নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোটি কয়েকদিন আগে ভেসে গিয়েছে। যার জেরে শহরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নৌকার সাহায্য নিতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি রায়ডাক ১ নম্বর নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটিও ভেসে গিয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা। এছাড়া ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়াগাড়ি গ্রামে গদাধর নদীর ভাঙনে একশো মিটারেরও বেশি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি টটপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নামনি যশোডাঙ্গায় বামনী নদীর ভাঙনের জেরেও তিনশো মিটারের মতো চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে ভালুকডাবরিতে চেকো নদীরও ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানেও মাটির বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

 

Advertisement