নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবার একদফা জেরা করা হয়েছে তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। টানা ১১ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন সেদিন। ইডি সেদিনই সায়নীকে জানিয়ে দেয়, ৫ জুলাই, অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে তাঁকে ফের হাজিরা দিতে হবে। ইডির একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ৫ তারিখ কুন্তল ঘোষের সঙ্গে মুখোমুখি বসানো হতে পারে সায়নী ঘোষকে।
কুন্তল এখন জেলে রয়েছে। সায়নীর সঙ্গে তাকে মুখোমুখি বসাতে গেলে বিষয়টা আদালতকে জানানোর নিয়ম। শুক্রবার ইডি দফতরে সায়নী ঢুকেছিলেন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ। তিনি ইডি দফতর থেকে বেরোন রাত ১১ টা নাগাদ। পরে শনিবার সায়নী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক ছিল না। একই রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল। অর্থাৎ পার্টি সূত্রে চেনা। তিনি তৃণমূলের যুব সভানেত্রী ও কুন্তল ছিলেন হুগলির যুব নেতা।
জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তিনি আইনজীবী নিয়ে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে সায়নী বলেছিলেন, ‘আইনজীবীর দরকার নেই। হাম হ্যায় না বস্।’ সূত্রের খবর, সায়নীকে একটি ফর্ম ফিল-আপ করতে দিয়েছে ইডি। সেখানে তাঁর গত দশ বছরের সমস্ত বিষয়-আশয়ের হিসেব দিতে বলা হয়েছে।