Sahitya Aajtak 2024: কলকাতা সাহিত্য আজতকের মঞ্চে উপস্থিত হন গায়ক, শিল্পী ও তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। গ্রেফতার তাঁর দুই সহকারী শিবু ও উত্তম হাজরা। মহিলাদের ওপর গণধর্ষণ সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাদের ওপর। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় দুই তৃণমূল নেতা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সাহিত্য আজতকের মঞ্চে মুখ খুললেন বাবুল।
বলেন, " সন্দেশখালির ঘটনা সমর্থন করি না, নেপথ্যে কোনও চক্রান্ত থাকলে দেখা যাবে। শাহজাহান এখনও গ্রেফতার হয়নি, বাকি দু'জন হয়েছে। ডিজিপি রাজীব কুমারও বলেছিলেন, কী কারণে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি। এইরকম ঘটনা বাংলা বা হাথরাসে হোক, কোনও রাজনীতি করা উচিত না। সকলের জন্য লজ্জাজনক। যদি সত্য প্রমাণিত হয়, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমার নিজেরও দুই মেয়ে আছে। মানবিকতার খাতিরে বলছি, কোনও দলের পক্ষপাত করব না।"
এছাড়াও, বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গেও তিনি এদিন একাধিক অভিযোগ শানান। প্রধানমন্ত্রীকে নিষ্ঠুর বলেও দাবি করেন। বাবুল বলেন, "প্রধানমন্ত্রী খুব নিষ্ঠুর। আমার ওপর কোনও কালো দাগ নেই। কোনও চুরি নেই। কেন আমাকে MoS রাখা হল। একটিও বাঙালি পাওয়া গেল না যে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হবে না। আমাকে বিনা কথায় ছুরি চালানো যাবে না। আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাইনি। আমি আসানসোলের এমপি পদ ছেড়েছিলাম। আমার কোনও কাউন্সিলর ছিল না। আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে থাকিনি।মা মারা গেছিলেন। মনের অবস্থা খারাপ ছিল। বাঙালির সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল। দিদি বলেছেন, তুমি ভালো কাজ করেছ, ছেড় না। ৮ বছর করেছ। দিদির সঙ্গে যতই রাজনৈতিক লড়াই ছিল, ঝালমুড়িও তো খেয়েছিলাম। ওনার সঙ্গে কথা বলে মেট্রোর সমস্যা মিটেছে। হাওড়া ময়দান ও সেক্টর ফাইভের মেট্রো তৈরি হয়েছে। একচা আমার বাড়ি, আরেকটায় আমার অফিস। দিদি বলেছিলেন, বাংলায় আসুন, মন খুলে গান করুন। দিদির মনে হয় না, আমি গান গাইলে মন্ত্রী পদ চলে যাবে।"
চলতি মাসের ৯ তারিখ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের এই দুই ঘনিষ্ঠের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামের এলাকার মহিলারা। সন্দেশখালি থানায় ঘেরাও করেন তাঁরা। এনিয়ে ব্যাপক গোলমাল হয়। কয়েকটি জায়গায় আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন রাতেই গ্রেফতার হন উত্তম সর্দার। পরে জামিন পেলেও তাঁকে আবারও গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও ফেরার শিবপ্রসাদ হাজরা। এরপর এক সপ্তাহের মাথায় দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ।