২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (West Bengal Panchayat Election Date 2018) তৃণমূল সন্ত্রাস ও ভোটলুঠ চালিয়েছে বলে এতদিন অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার সেই কথা কার্যত স্বীকার করে নিল তৃণমূলও। 'গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথ দখল করেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়', এই অভিযোগ শোনা গেল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। তৃণমূলের নেতার এই বক্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিকমহলে।
সংবাদমাধ্যমকে নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথ দখল করেছেন শান্তনু। নিজের পেটোয়া এমন কিছু লোককে তিনি টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন, এলাকায় যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না, তাঁদের জেতাতেই ওই পন্থা। শান্তনুর এক আত্মীয়া প্রধান হন'।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharyya) বলেন, '৩৪ শতাংশ আসনে বিরোধী রাজনৈতিক দল কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। জয়ী প্রার্থীদের অফিসে বসিয়ে রেখে যে ফলাফল দুপুর দেড়টায় সময়, রাত্রি ১টায় ঘোষণা করা হল তিনি পরাজিত হয়েছেন। যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হয়নি। দিনের পর দিন মিথ্যা মাললা কিডন্যাপ, সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল দখলদারি কায়েম করেছে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কাজটাই করেছিলেন, ভাল কাজ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রসের হয়ে তিনি কাজ করেছেন। তৃণমূল দখল করেছে, সেই দখলটাকে বাস্তবায়িত রূপ দিয়েছিলেন তিনি পঞ্চায়েত স্তরে। সেই জন্য দল তাঁকে পুরষ্কৃত করেছে। দল বিভিন্ন জায়গায়,ট্রান্সফার, চাকরি বিক্রি, বদলি, ঠিকাদারী বিভিন্ন কাজে তাকে এগিয়ে দিয়েছে। লুঠ করতে সাহায্য করেছে'।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও (West Bengal Panchayat Election Date 2023) কি এমনটাই আশঙ্কা রয়েছে? এইসঙ্গে শমীকবাবু বলেন, 'এই নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশকে দিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনকে যদি রক্তপাতহীন করতে হয়, নির্বাচনকে যদি প্রকৃত জনমানসের প্রতিফলন ঘটাতে হয়, যদি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের স্বপ্নকে বাস্তাবিয়ত করতে হয় তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার আছে। এই পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনকে দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক নির্বাচন সম্ভব নয়'।
আরও পড়ুন - উচ্চ মাধ্যমিকে খাতা জমার নয়া নিয়ম, আরও যা যা জানা জরুরি