ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। শনিবার নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই আবহেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন রামপুর বাজারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, সন্দেশখালি রামপুর দুই নম্বরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজী সিদ্দিক মোল্লা, তৃণমূল নেতা হাশেম মোল্লা, জুলফিকার মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন এলাকার মানুষদের জোর করে জমি দখল করে রেখেছে। রবিবার এই অভিযোগেই রামপুর বাজার এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
রবিবার সকালে সন্দেশখালির রামপুর বাজারে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাসেম মোল্লা এবং জুলফিকর মোল্লাকে গ্রেফতার করতে হবে। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ তিনজনকে। এরপর রবিবার সকাল থেকেই আরও দুজনকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন হাসেম এবং জুলফিকর।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই। জমির জবরদখল থেকে শুরু করে মহিলাদের নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সেই আন্দোলন কিছুটা থিতিয়েছিল। পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ, সরবেরিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জি এবং দিদার বক্স মোল্লাকেও। শনিবার শাহজাহানের ভাই আলমগির শেখকেও গ্রেফতার হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার সন্দেশখালির বেরমজুরে নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, গত বছর তিনেক আগে এলাকার মানুষদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছিল এই তৃণমূল নেতারা। এছাড়াও নানান অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিন তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।