সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে বদলি করা হল। নতুন ওসি হলেন গোপাল সরকার। এর আগে বিশ্বজিৎ সাপুইয়ের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। ঠিক কী কারণে বদলি করা হল তাঁকে? এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা এটি রুটিন জল্পনা বলেই দাবি করা হচ্ছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে দুই ED আধিকারিককে তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য তলব করেছে CBI। ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন দুই আধিকারিক।
বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার বেলা ১১:৪০ নাগাদ দুই ইডি আধিকারিক কলকাতায় সিবিআই অফিসে হাজির হন। এই মুহূর্তে সিবিআই তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করছে।
সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের দাবি, শাসক দলের একাংশের বিরদ্ধে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে। এমনই বিতর্কের আবহের মধ্যেই বদলি করা হল সন্দেশখালি থানার ওসি-কে।
আনুষ্ঠানিকভাবে, রাজ্য প্রশাসন এটিকে রুটিন বদলি হিসাবেই জানিয়েছে। তবে, সন্দেশখালি থানার দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৩ মাস পরই বিশ্বজিৎ সাপুইকে বদলি করে দেওয়া হল। বিশ্বজিৎ সাপুইকে বসিরহাট থানায় বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর জায়গায় সন্দেশখালিকে গোপাল সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সফরের সময়ই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, রাজ্য প্রশাসন কমিশনের নজরে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বদলি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।