শুভেন্দুর যাওয়ার পথেই মঙ্গলবার সন্দেশখালির ৬টি জায়গায় নতুন করে জারি হল ১৪৪ ধারা। ধামাখালিতেই আটকে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সন্দেশখালির দিকে রওনা দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন BJP-র ৪-৫ জন বিধায়ক। শুভেন্দু ধামাখালি ঘাট থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই এই ঘোষণা করা হয়। এর ফলে শুভেন্দু-সহ বিজেপি সাংসদরা সেখানে পৌঁছাতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। ধামাখালি ঘাটে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা সেখানে জমায়েত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বাধা পাওয়ার পর বলেন, 'মমতা সরকার, তার পুলিশ আইন মানছে না।' হাইকোর্ট তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ আদালতের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। শুভেন্দু বলেন, ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন তিনি। পুলিশকে এই বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার সময় দেবেন। তারপরেও প্রবেশ করতে দেওয়া না হলে শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান। ফের আদালতে আপিল করবেন বলে জানান শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করব। তারপর প্রবেশ না করতে দিলে এরপর আমি গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাব। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে নতুন করে আপিল করার জন্য আমার আইনজীবীকে বলব। আমার এবং শঙ্কর ঘোষের যে অর্ডার আছে, তা তো প্রযোজ্য।'
উল্লেখ্য এদিন সন্দেশখালি গিয়েছেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। তাঁকেও প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, 'যখন মহিলারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হল তখন পুলিশ কোথায় ছিল? আমরা কেব নির্যাতিত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দিল। এলাকার মহিলাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে যৌন নির্যাতন চালানো হত, তখন পুলিশের ভূমিকা কিছুই ছিল না।'
সিপিএম নেত্রী জানান, সন্দেশখালিরই কয়েকটি পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপরেই এখানে আসেন তিনি। তাই তাঁকে যাতে সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানান তিনি। যদিও পুলিশকর্মীরা তাঁকে প্রবেশ করতে দেননি। এরপর আইনি বা আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে কিনা, তাই নিয়ে পর্যালোচনা করছে সিপিএম নেতৃত্ব।
পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে, প্রায় একই জায়গায় রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি ও সিপিএম কর্মীরা।