scorecardresearch
 

Sandeshkhali Ground Report: শাহজাহানের 'সাম্রাজ্যে' প্রবেশ নিষেধ, আকুঞ্জিপাড়ার রাস্তা রুখল 'ভাই'য়ের অনুগামীরা

সকাল থেকে সন্দেশখালির আনাচ-কানাচ ঘোরাঘুরির পর ফেরার পথে গাড়ি চলছিল সরবেড়িয়ার পথে। সেখানকার আকুঞ্জিপাড়ায় বাড়ি তৃণমূলের ফেরার ও দোর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানের। গোটা সন্দেশখালির একাধিক এলাকা পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হলেও, ওই চত্বরে কোনও পুলিশ নেই।

Advertisement
শেখ শাহজাহানের বাড়ি সরবেরিয়া আকুঞ্জপাড়া মোড়। ফাইল ছবি শেখ শাহজাহানের বাড়ি সরবেরিয়া আকুঞ্জপাড়া মোড়। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সকাল থেকে সন্দেশখালির আনাচ-কানাচ ঘোরাঘুরির পর ফেরার পথে গাড়ি চলছিল সরবেড়িয়ার পথে।
  • সেখানকার আকুঞ্জিপাড়ায় বাড়ি তৃণমূলের ফেরার ও দোর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানের।

সকাল থেকে সন্দেশখালির আনাচ-কানাচ ঘোরাঘুরির পর ফেরার পথে গাড়ি চলছিল সরবেড়িয়ার পথে। সেখানকার আকুঞ্জিপাড়ায় বাড়ি তৃণমূলের ফেরার ও দোর্দোণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানের। গোটা সন্দেশখালির একাধিক এলাকা পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হলেও, ওই চত্বরে কোনও পুলিশ নেই। 'ভাই'য়ের বাড়ির পথ আগলে রয়েছে তাঁর অনুগামীরা। যেখানে কোনও গাড়ির প্রবেশাধিকার নেই। ঢুকলেই বিপদ!

শনিবার সন্দেশখালি থেকে  পথে বারকয়েক বাড়ির ঠিকানা জেনে নেওয়া চলছে দোকানপাটে-পথচলতিদের কাছে। বাচ্চারাও দেখিয়ে দিচ্ছিল সেই বাড়ি। কিন্তু আকুঞ্জিপাড়ার দিকে গাড়ি ঢুকতেই আশপাশে বসে থাকা কিছু যুবক ও মাঝবয়সী লোকজন রে রে করে তেড়ে এল। মুখে-চোখে প্রবল জিজ্ঞাসা ও অবিশ্বাস। চিৎকার করে গাড়ি থামাতে বলা হল। তারপরই গাড়ি ঘিরে ধরল দশ-পনেরজনের একটা দল।

ততক্ষণে উঠে দাঁড়িয়েছে আশেপাশের দোকানে, রাস্তার আশপাশে বসে থাকা লোকজনও। একজন ঔদ্ধত্যের সঙ্গে প্রশ্ন ছুঁড়েদিলেন, 'এদিকে কোথায় যাচ্ছেন।' উত্তর পেতেই সে বলল, আপনারা কারা? সংবাদমাধ্যম শুনে কার্ড দেখতে চাইল সেই যুবক। গাড়ি থেকে এগিয়ে দেওয়া কার্ডে একপলক চোখ বুলিয়েই সে ড্রাইভারকে নির্দেশ দিল গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে। নির্দেশের মধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হল, এগোলেই বিপদ!

আরও পড়ুন

কেন সেখানে ঢোকা যাবে না? প্রশ্নের উত্তরে শাহজাহানের মোতায়েন করা সেই ‘মাতব্বর’রা জানালেন, সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে ফেরা সমস্যা, তাই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপর গাড়ি কিছুটা জোর করেই বের করে দেওয়া হল সেই রাস্তা থেকে। আশেপাশে কোনও পুলিশ চোখে পড়ল না। অগত্যা কিছুটা ভয়েই গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন পৌঢ় চালক। কিছুটা এগিয়ে এসে চায়ের দোকানে দাঁড়াতে হল। দোকানি বললেন, 'ওখানে আপনারা আর কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক করলেই আপনাদের গাড়ি-ক্যামেরা ভাঙচুর করে দিত। পুলিশ কিছুই করত না।'

Advertisement

টানা ৪৫ দিন ধরে অধরা শেখ শাহজাহান। ইডি আধিকারিকরা মার পর্যন্ত খেয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথে। এতটাই দাপট তাঁর! ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সে সময়ে শাহজাহানের বাড়ির দরজা তালা ভাঙতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়তে হয় আধিকারিকদের। অভিযোগ ওঠে, হাজার হাজার গ্রামবাসী লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে তেড়ে এসেছিলেন তাঁদের দিকে। কলাবাগান দিয়ে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন সিআরপিএফের সদস্য। দুই ইডি আধিকারিকের মাথাও ফেটে যায়। সেখান ইডি-র ল্যাপটপ লুঠেরও অভিযোগ ওঠে। এখন আকুঞ্জপাড়ার মোড়ে কারা বসে রয়েছে, এরাই কী ইডির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল? শাহজাহানের বাড়ির পথে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন উঠছে।


 

Advertisement