দীর্ঘ টালবাহানার পর গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর মিনাখাঁ থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে শাহজাহানকে। তাঁকে বৃহস্পতিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছে পুলিশ। আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে শাহজাহানকে। এদিকে শাহজাহান গ্রেফতারের খবর সন্দেশখালিতে পৌঁছতেই অকাল উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান মহিলারা। আবির ওড়ে আকাশে।
সূত্রের খবর, গতকাল দুপুরের পর থেকে শেখ শাহজাহানের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই শুরু হয় তল্লাশি। রাতের দিকে বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। তারপর গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁকে বসিরহাট আদালতের কোর্ট লকআপে নিয়ে আসা হয়। এরপর বসিরহাট মহকুমা আদালতের মুখ্য বিচারকের এজলাসে পেশ করা হয় তাঁকে।
এদিকে, গ্রেফতারির খবর পেতেই বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। উৎসবে মাতেন গ্রামবাসীদের একটি অংশ। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা যায়। মহিলারা নিজেদের মধ্যে আনন্দে আবিরও খেলেন। লাল, সবুজ আবির একে অপরকে মাখিয়ে দেন তাঁরা। অনেক মহিলাকে শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনিও দিতে দেখা যায়। 'দিদি আমার নোনা জলে সোনা ফলাইসে', গানে নাচতেও দেখা যায় অনেককে।
আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহানের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শিবপ্রসাদ হাজরা এবং উত্তম সর্দার। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতাকেও। কিন্তু ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর ৫৫ দিন কেটে গেলেও নাগালের বাইরেই ছিলেন শাহজাহান। বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করল শাহজাহানকে। তবে এর পাশাপাশি একটি আশঙ্কাও দানা বাঁধছে সন্দেশখালিতে। গ্রামবাসীদের একাংশ শাহজাহান শেখের সাঙ্গপাঙ্গদের ওপর চড়াও হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি শাহজাহানের বাড়িতেও চড়াও হতে পারে কেউ কেউ। তবে গোটা বিষয়টি সামাল দেওয়ার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে।